Logo
×

Follow Us

অর্থনীতি

আরও কমেছে রিজার্ভ

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ আগস্ট ২০২৪, ২২:০৮

আরও কমেছে রিজার্ভ

মার্কিন ডলার। ছবি: সংগৃহীত

কোটা সংস্কার নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সৃষ্ট পরিস্থিতির প্রভাব পড়েছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভে। ফলে গত এক মাসে অর্থনীতির অন্যতম সূচকটি কমেছে ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার। দেশীয় মুদ্রায় হিসাব করলে এর অংক দাঁড়াবে ১৫ হাজার ৩০০ কোটি টাকার বেশি।

আজ বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে জুলাই মাসের রিজার্ভের এ তথ্য প্রকাশ করেছে। এর আগে প্রতি সপ্তাহের রিজার্ভের তথ্য প্রকাশ করলেও এবার এক মাস পর তথ্য প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ৩১ জুলাই দেশের বৈদেশিক মুদ্রার গ্রোস বা মোট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৯২ কোটি মার্কিন ডলার (২৫ দশমিক ৯২ বিলিয়ন)। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবপদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ এখন ২ হাজার ৪৮ কোটি ৮২ লাখ ডলার (২০ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন)।

আগের মাস জুনে মোট রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৬৮১ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলার (২৬ দশমিক ৮১ বিলিয়ন) আর বিপিএম–৬ ছিল ২১ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন বা ২ হাজার ১৭৮ কোটি মার্কিন ডলার। সেই হিসাবে মোট রিজার্ভ কমেছে ৮৯ কোটি ৩৮ লাখ ডলার এবং বিপিএম–৬ কমেছে ১৩০ কোটি ডলার।

তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের বাইরে আরেকটি হিসাব রয়েছে যাকে বলা হয় নেট ইন্টারন্যাশনাল রিজার্ভ (এনআইআর), এ তথ্য শুধু আইএমএফকে দেওয়া হয়, প্রকাশ করে না। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেই হিসাবে দেশের ব্যয়যোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৫ বিলিয়ন ডলারের নিচে। প্রতি মাসে সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলার হিসেবে এ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটাতে কষ্টসাধ্য হবে বাংলাদেশের জন্য। 

সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ এখন শেষ প্রান্তে রয়েছে। একটি দেশের অর্থনীতির অন্যতম সূচক হল বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ।

চলতি বছরের ৩০ জুন শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের নেট ইন্টারন্যাশনাল রিজার্ভ (এনআইআর) বা ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ ছিল এক হাজার ৬০০ কোটি মার্কিন ডলার ( ১৬ বিলিয়ন ডলার)। তবে জুলাই মাসে এনআইআর এর তথ্য জানায়নি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। 

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫