
ডলার। ছবি: সংগৃহীত
সেপ্টেম্বর মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয় এসেছে ২৪০ কোটি ডলার যা আগের বছরের একই মাসের তুলনায় ১০৭ কোটি ডলার বা ৮০ দশমিক ২২ শতাংশ বেশি। গত বছরের সেপ্টেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৩৩ কোটি ডলার।
সংশ্লিষ্টরা জানান, রেমিট্যান্স ব্যাপক বৃদ্ধির ফলে ডলার বাজারে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। সরকার পতনের পর থেকে ডলারের দর ১২০ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে। গত মাসের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) জুলাই–আগস্টের দায় বাবদ ১৩৭ কোটি ডলার পরিশোধের পরও রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ১৯ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলার।
সেপ্টেম্বর মাসের এ রেমিট্যান্স গত জুলাই মাসের তুলনায়ও ১৮ কোটি ডলার বা ৮ দশমিক ১২ শতাংশ বেশি। আগস্টে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে ২২২ কোটি ডলার পাঠিয়েছিলেন। আর অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে এসেছিল ১৯১ কোটি ডলার। এ
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে মূলত জুলাই মাসে রেমিট্যান্স কমে যায়। কেননা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ওই সময় কয়েকদিন ব্যাংক বন্ধ ছিল। আবার সরকারকে অসহযোগিতার জন্য ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স না পাঠাতে ব্যাপক ক্যাম্পেইন হয়। সব মিলিয়ে রেমিট্যান্স কমে যায়। এর আগে যা অনেক বাড়ছিল। মূলত গত মে মাসে এক লাফে প্রতি ডলারে ৭ টাকা বাড়িয়ে ডলারের মধ্যবর্তী দর ঠিক করা হয় ১১৭ টাকা। এরপর মে মাসে রেমিট্যান্স আসে ২২৫ কোটি ডলার এবং জুনে ২৫৪ কোটি ডলার।