
কাঁচা মরিচ। ছবি: সংগৃহীত
বরিশালের পাইকারী বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা। অথচ সেই মরিচ খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা দরে। পাইকারী কাঁচাবাজারের থেকে সামান্য দূরত্বে খুচরা বাজারগুলো ঘুরে এমন তথ্যই উঠে আসে।
বরিশালের সর্ববৃহৎ পাইকারী কাঁচাবাজার কীর্তনখোলা নদীর তীরবর্তী বরিশাল সিটি মার্কেটের পাইকারি বাজার। এ বাজারের ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম শুভ জানান, তাদের এ বাজারে তিনদিন আগে সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা পর্যন্ত কাঁচা মরিচের দর উঠেছিল। তবে ১৪ অক্টোবর থেকে দাম কমতে শুরু করে। যার ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সকালে পাইকারী ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে।
এদিকে, পাইকারী বাজারের থেকে খুচরা বাজারে মরিচের দামে বড় তফাত খুঁজে পাওয়া যায়। পাইকারীতে দাম কমতে শুরু করলেও তার প্রভাব নেই খুচরা পর্যায়ে।
নগরীর বাংলাবাজার এলাকা থেকে মঙ্গলবার সকালে কাঁচা মরিচ কিনে ক্রেতা আছিয়া বলেন, নগরীর আমতলার মোড়ে ভ্যানে কাঁচা মরিচের দাম জিজ্ঞাসা করেছি, তারা আড়াইশ গ্রাম ১২৫ টাকা অর্থাৎ কেজি ৫০০ টাকা দাম চেয়েছে। পরে বাংলা বাজার এসে ৪৮০ টাকা দরে আড়াইশ গ্রাম কাঁচা মরিচ ১২০ টাকা দিয়ে কিনেছি।
পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচের দাম কমলেও খুচরা বাজারে প্রভাব নেই কেন- এমন প্রশ্নে চৌমাথা এলাকার ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী মনির বলেন, যাদের কাছে মঙ্গলবার সকালের মরিচ আছে তারা ৪০০ টাকা দরে বিক্রি করতে পারবে। আগের মরিচ যাদের কাছে রয়েছে তারা বেশি দামেই বিক্রি করছেন। কারণ তাদের মরিচ কেনা পড়েছে বেশি দামে।
যদিও ক্রেতারা বলছেন, এক বাজারে কেউ দুই দামে পণ্য বিক্রি করে না। তাই পুরাতন মরিচ শেষ না হওয়া পর্যন্ত খুচরা বাজারে মরিচের দাম কমবে না।
বরিশাল সিটি মার্কেটের পাইকারি ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম দুলাল জানান, সাম্প্রতিক উত্তরাঞ্চলে বন্যা ও দেশজুড়ে প্রবল বৃষ্টিসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বাজারে চাহিদার থেকে সবজির আমদানি চলতি মাসজুড়েই কম রয়েছে। এ কারণে চলতি মাসেই কয়েক দফায় পাইকারি বাজারে সবজির দর বেড়েছে। যার প্রভাব খুচরা বাজারেও পড়েছে।