প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) অন্তত ৩ শতাংশের সমপরিমাণ মতো অর্থ পাচার হয়ে যাচ্ছে বলে মনে করে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি। 

অর্থনীতিতে পেশাদারদের সংগঠনটি জানায়, স্বাধীনতার পর থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছর পর্যন্ত ৪৬ বছরে দেশ থেকে পাচার হওয়ার টাকার পরিমাণ ৭ লাখ ৯৮ হাজার ৩২৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে অর্থ পাচারের পরিমাণ কমপক্ষে ৭৫ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা, যা একই অর্থ বছরের সৃষ্ট মোট কালো টাকার ৯ শতাংশের সমপরিমাণ।

আজ সোমবার (২১ অক্টোবর) বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

এসময়, দেশ থেকে পাচার হওয়া এই অর্থ ফেরত আনতে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি। একইসঙ্গে অর্থ পাচারের উৎসগুলো বন্ধে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রচেষ্টাকে সর্বোতভাবে সমর্থন জানিয়েছে।

বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি মনে করছে, দেশের অর্থনীতিতে ক্যান্সার ব্যাধির মতো ছড়িয়ে পড়া কালো টাকা, অর্থপাচার ও দুর্নীতির মতো মৌলিক সমস্যা নির্মূলে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সমর্থ হবে।