ঋণ শোধের পর জানা গেল দেশের প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৪:০১

প্রতীকী ছবি।
এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নকে (আকু) দেড় বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে ১৮ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। গত সপ্তাহ শেষে রিজার্ভ উঠেছিল ২০ বিলিয়ন ডলারে।
গতকাল মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা এ তথ্য জানান।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের কারণে গত ৭ নভেম্বর সাময়িকভাবে ২০ বিলিয়ন ডলার স্পর্শ করে দেশের রিজার্ভ। তবে আকুকে বড় অঙ্কের অর্থ পরিশোধ করায় তা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। এর আগে সেপ্টেম্বরে এক দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার (জুলাই-আগস্টের) বিল পরিশোধে রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ১৯ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। পাশাপাশি রপ্তানি আয় হয়েছে ১০ বিলিয়ন ডলারের বেশি। এর ফলে রিজার্ভে কিছুটা স্থিতিশীলতা এসেছে। তার ওপর আমদানিতে এলসি খোলার চাপ কমায় ব্যাংকগুলো ডলারের পর্যাপ্ত তারল্য বজায় রাখতে পারছে। এছাড়া বিদেশি ঋণ ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলার কেনার ফলেও রিজার্ভের পরিমাণ বেড়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের আগস্টে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। তবে কোভিড-পরবর্তী অর্থনীতিতে চাহিদা বৃদ্ধি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করতে বাধ্য হয় সরকার। পাশাপাশি, বৈদেশিক ঋণ ও বিনিয়োগের পরিমাণ হ্রাস এবং আগের ঋণ পরিশোধ করার ফলে দীর্ঘদিন ধরে রিজার্ভের পরিমাণ কমতে থাকে।