আদানি থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক করলো বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৭

আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র। ছবি: সংগৃহীত
শীতে চাহিদা কম থাকায় আদানি গ্রুপ থেকে বিদ্যুৎ ক্রয়ের পরিমাণ অর্ধেক কমিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ।
সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদ্যুৎ ক্রয় সংক্রান্ত বিপুল বকেয়া অর্থ জমে যাওয়ার পর ৩১ অক্টোবর থেকে আদানি গ্রুপ বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছিল। ধারণা করা হচ্ছে, বকেয়া পরিমাণ আর না বাড়ানোর উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি) জানিয়েছে, আবহাওয়াজনিত কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বর্তমানে কমে যাওয়ায় বিদ্যুৎ ক্রয় কমানো হয়েছে।
বিআরডিবির চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম বলেন, আদানি গ্রুপ প্রথম যখন বিদ্যুতের সরবরাহ কমিয়ে দিলো, আমাদের কাছে সেটি ছিল পুরোপুরি অপ্রত্যাশিত। আমরা তাতে ক্ষুব্ধও হয়েছিলাম।
তিনি বলেন, এখন যেহেতু শীতের মৌসুম, আবহাওয়াগত কারণেই এ সময় বাংলাদেশে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের চাহিদা কিছুটা কম থাকে। তাই আমরাও বিদ্যুৎ ক্রয়ের পরিমাণ কমিয়েছি।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে বাংলাদেশ আদানি গ্রুপের সঙ্গে ২৫ বছর মেয়াদী একটি চুক্তি সই করে, যার আওতায় ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষম একটি তাপভিত্তিক কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য এই কেন্দ্রটি বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ অন্যান্য ভারতীয় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান থেকে ৯.৫৭ টাকা প্রতি ইউনিট দরে বিদ্যুৎ ক্রয় করলেও আদানি গ্রুপের কাছ থেকে প্রতি ইউনিট ১৪.৮৭ টাকায় বিদ্যুৎ কেনা হয়। বাংলাদেশ এই বিদ্যুৎ ৮.৯৫ টাকায় বিক্রি করে এবং প্রতিবছর ৩,২০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দেয় সরকার।
আদানি গ্রুপের এক মুখপাত্র জানান, বাংলাদেশের সরকারের কাছে মোট ৯০ কোটি ডলার পাওনা রয়েছে। সরকার পরিবর্তনের পর কিছু অর্থ পরিশোধ হলেও বড় অংশ এখনও বাকি রয়েছে।
তিনি জানান,তারা বিআরডিবি এবং সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বিআরডিবির একজন কর্মকর্তা জানান, ইতোমধ্যে ১৮ কোটি ২০ লাখ ডলার পরিশোধ করা হয়েছে এবং বাকি অর্থও শিগগিরই মিটানো হবে।