দাবি না মানলে ১ জানুয়ারি থেকে ডিম-মুরগি উৎপাদন বন্ধ: বিপিএ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:৪৮

মুরগি ও ডিম। ফাইল ছবি
প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারিদের স্বার্থ রক্ষায় কর্পোরেট কোম্পানির আধিপত্য বন্ধসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। দাবিগুলো পূরণ না হলে ১ জানুয়ারি থেকে সারা দেশে ডিম ও মুরগি উৎপাদন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।
আজ রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিপিএ।
বিপিএ’র সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার বলেন, প্রান্তিক খামারিদের রক্ষায় বারবার সরকারের কাছে আবেদন করলেও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। উল্টো কর্পোরেট সিন্ডিকেটকে সহযোগিতা করা হচ্ছে। সিন্ডিকেটের কারণে বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, যা ক্ষুদ্র খামারিদের বিপুল ক্ষতির মুখে ফেলছে। এ পরিস্থিতি দেশের খাদ্য নিরাপত্তা, কর্মসংস্থান এবং অর্থনীতির জন্য বড় হুমকি সৃষ্টি করছে।
১. কর্পোরেট কোম্পানিগুলোকে শুধুমাত্র ফিড ও মুরগির বাচ্চা উৎপাদনে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
২. বাণিজ্যিকভাবে ডিম ও মুরগি উৎপাদন বন্ধ করতে হবে।
৩. ফিড ও মুরগির বাচ্চার সিন্ডিকেট বন্ধ করতে হবে।
৪. প্রান্তিক খামারিদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে হবে।
৫. ক্ষুদ্র খামারিদের সহজ শর্তে ঋণ ও ভর্তুকি দিতে হবে।
৬. ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের জন্য প্রণোদনা ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
৭. প্রান্তিক খামারিদের জন্য আলাদা বাজার সুবিধা তৈরি করতে হবে।
৮. কর্পোরেট সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে সরকারি নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।
৯. চুক্তিভিত্তিক ফার্মিং বন্ধ করতে হবে।
১০. প্রান্তিক খামারিদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ প্রদান করতে হবে।
বর্তমানে ডিম ও মুরগির দাম স্থিতিশীল থাকলেও বিপিএর দাবি, কর্পোরেট কোম্পানির সিন্ডিকেটের কারণে প্রান্তিক খামারিরা প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না। সংগঠনটি জানিয়েছে, সরকারের কার্যকর পদক্ষেপের অভাবে ৫০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান ঝুঁকিতে পড়েছে।
বিপিএ সভাপতি বলেন, সরকার যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেয়, তবে ১ জানুয়ারি থেকে প্রান্তিক খামার বন্ধের কর্মসূচি বাস্তবায়িত হবে। দেশের সব জেলা ও উপজেলায় এই কর্মসূচি চালানো হবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রান্তিক খামারিদের রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া না হলে দেশের পোল্ট্রি খাতে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি হতে পারে। সরকারের নীতিমালা ও সহায়তা এ সংকট উত্তরণের প্রধান উপায় হতে পারে।