Logo
×

Follow Us

অর্থনীতি

৬৫ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে কর বাড়ানোর উদ্যোগ, বাড়তে পারে ওষুধ-ইন্টারনেটের দাম

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪:০৩

৬৫ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে কর বাড়ানোর উদ্যোগ, বাড়তে পারে ওষুধ-ইন্টারনেটের দাম

এনবিআর ভবন। ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চাপে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক আইনে কিছু সংশোধন আনতে যাচ্ছে সরকার। এতে ওষুধ, গুঁড়া দুধ, সিগারেট, বিস্কুট, ইন্টারনেট, বিমানের টিকিটসহ ৬৫ ধরনের পণ্য ও সেবার ওপর বাড়তি মূসক ও শুল্ক আরোপ হতে পারে। ফলে বাজেটের আগেই এসব পণ্য ও সেবার দাম এক দফা বাড়তে পারে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এনবিআর সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চলতি (২০২৪-২৫) অর্থবছরের মাঝপথে এসে হঠাৎ ভ্যাট, সম্পূরক শুল্কসহ বিভিন্ন ধরনের কর বাড়িয়ে রাজস্ব বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। গতকাল বুধবার (১ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়।

এই সংক্রান্ত অধ্যাদেশের খসড়াটি উপদেষ্টা পরিষদ অনুমোদনও দিয়েছে। শিগগির আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং সাপেক্ষে এনবিআরের ভ্যাট বিভাগ থেকে ভ্যাট বাড়ানোর আদেশ জারি করা হবে।

জানা গেছে, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইনে কিছু সংশোধন আনা হয়েছে।

এনবিআর কর্মকর্তারা জানান, জাতীয় সংসদ ছাড়া কর বাড়ানোর সুযোগ নেই বললেই চলে। এ কারণে রাষ্ট্রপতির আদেশে অধ্যাদেশ দিয়ে কর বাড়াতে হয়। নতুন ভ্যাট হার কার্যকরে রাষ্ট্রপতির জারি করা অধ্যাদেশের মাধ্যমেই সেটি করা হতে পারে। আগামী সপ্তাহে এই অধ্যাদেশ জারি হতে পারে।

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) সরকারকে দেওয়া ঋণের শর্ত হিসেবে করছাড় কমিয়ে রাজস্ব বাড়ানোর অংশ হিসেবে ভ্যাট হার যৌক্তিক করার কথা বলেছে। সংস্থাটির পরামর্শ মতে মানুষের প্রতিদিন ব্যবহার্য ৬৫ পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বাড়ানো হতে পারে। গত বছরের শেষার্ধে সংস্থাটির সঙ্গে বৈঠক করে এনবিআর।

সূত্র জানায়, ঋণ দিতে আইএমএফ বাংলাদেশকে কর-জিডিপি অনুপাত ০.২ শতাংশ বাড়ানোর শর্ত দিয়েছে। টাকার অঙ্কে যা ১২ হাজার কোটির বেশি। এই অর্থ ২০২৪-২৫ অর্থবছরের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রার (চার লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা) সঙ্গে যোগ হবে।

জুলাই-আগস্টের আন্দোলন ও ব্যবসা বাণিজ্যে নানাবিধ সংকটে রাজস্ব আদায়ের পরিস্থিতি ভালো নয়। চলতি অর্থবছরের চার মাসে রাজস্ব ঘাটতি প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। এমন অবস্থায় বাড়তি রাজস্ব আদায়ে ভ্যাট বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই বলে একাধিক সূত্র জানায়।

তালিকায় উল্লেখযোগ্য পণ্যগুলো হলো:

জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, এলপি গ্যাস, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, আচার, টমেটো কেচাপ/সস, ফলমূল, সাবান, মিষ্টি, ডিটারজেন্ট, চপ্পল (স্যান্ডেল), টিস্যু পেপার, ইন্টারনেট ও বিমান টিকিট ইত্যাদি।

ভ্যাট বাড়লে এসব পণ্য ও সেবার দাম বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে, যা মূল্যস্ফীতিকে উসকে দিয়ে সাধারণ মানুষের কষ্ট বাড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫