বর্তমান সময় শিকলে বন্দি হয়ে থাকার নয়। তাই অনেক নারী এখন চাকরি ছেড়ে ব্যবসার দিকে ঝুঁকছেন এবং সফলতার সঙ্গে তাদের যোগ্যতা প্রমাণ করে চলেছেন। যারা ব্যবসা করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছেন, তাদের জন্য আজকের এই প্রতিবেদনে থাকছে বেশ কয়েকটি আইডিয়া।

ফ্যাশন ডিজাইনিং

জামাকাপড়, গয়না এবং আনুষঙ্গিক বিষয়কে কেন্দ্র করে ব্যবসাগুলো সর্বদা বিশ্বব্যাপী নারীদের জন্য প্রিয়। আপনি যদি একটি চমৎকার ফ্যাশন সেন্স রাখেন এবং পোশাক ডিজাইন করতে ভালোবাসেন, তবে এটিকে ক্যারিয়ার করতে পারেন। কারণ এখানে প্রথমত বিনিয়োগ কম। দ্বিতীয়ত, ক্লায়েন্ট যদি আপনার ফ্যাশন সেন্স ও ডিজাইন পছন্দ করে, তবে তারা আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পছন্দ করবে। বাড়িতে জায়গা থাকলে, এটিকে আপনার স্টুডিওতে রূপান্তর করতে পারেন এবং নতুন উদ্যোগে শুরু করতে পারেন।

খাবারের হোম ডেলিভারি

কর্মব্যস্ততার যুগে বাড়িতে রোজ রান্না করার সুযোগ হয় না অনেকেরই, আবার প্রতিদিন হোটেলের খাবারও খেতে চান না। এই চাহিদা থেকেই শুরু খাবারের হোম ডেলিভারির ব্যবসা। তাই যারা রান্নায় দক্ষ, অল্প পুঁজিতে হোমমেড ফুড ডেলিভারি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। বাড়িতে রান্না করে পৌঁছে দিন বাড়ি কিংবা অফিসে, সময়মতো সুস্বাদু খাবার দিতে পারলে ব্যবসার অভাব হবে না।

ফিটনেস প্রশিক্ষক

ফিটনেস প্রশিক্ষক পেশা নারীদের জন্য একটি অত্যন্ত লাভজনক এবং কার্যকরী হতে পারে। স্বাস্থ্য সচেতনতা ও শারীরিক ফিটনেসের প্রতি মানুষের আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং নারীরা অনেক বেশি স্বাস্থ্য ও ফিটনেসের জন্য পরামর্শ গ্রহণ করছেন। এই পেশায় কাজ করলে আপনি শুধু আয়ের পথই নয়, স্বাস্থ্যের প্রতি আগ্রহ এবং সুস্থতার জন্য মানুষের সহায়ক হতে পারেন।

মেহেদি ডিজাইনার

এই পেশায় সফল হতে প্রথমে মেহেদি ডিজাইন করার মৌলিক দক্ষতা অর্জন করা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের কাজের প্রচারণা করতে হবে। মেহেদি ডিজাইনারদের জন্য উৎসব, বিবাহ এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানে ব্যাপক চাহিদা থাকে, যা তাদের ক্যারিয়ারে নতুন সুযোগ তৈরি করে। 

ইউটিউব চ্যানেল

আয় করার একটি সহজ উপায় ইউটিউব চ্যানেল। শিক্ষামূলক থেকে রান্না শেখানো, লাইফ হ্যাকস থেকে ঘুরে বেড়ানো, যেকোনো বিষয় হতে পারে। চ্যানেলের ফলোয়ার বাড়াতে নিয়মিত ভিডিও আপলোড করতে হবে। ভিডিওর যথেষ্ট ভিউ হলে বিজ্ঞাপন বাবদ টাকা পাবেন।

ইন্টেরিয়র ডিজাইনার

শহরের বাড়ি, অফিস, বুটিক, ক্যাফে বা দোকানগুলোর ডিজাইন পরিবর্তন করার জন্য অনেকেই ইন্টেরিয়র ডিজাইনারের সাহায্য নেন। সম্প্রতি অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে ইন্টেরিয়র ডিজাইনিংয়ের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। এটি এমন একটি শিল্প যা সব বয়সী নারী উদ্যোক্তাদের জন্য সুযোগ তৈরি করে। কর্মঘণ্টা ও কাজের ধরন অনেকটাই নিজেদের ইচ্ছার ওপর নির্ভর করবে। এই ধরনের কাজের মাধ্যমে আপনি আপনার পরিবার ও ব্যক্তিগত জীবনকেও সামঞ্জস্য করতে পারেন।

হ্যান্ডিক্রাফট 

হাতে বানানো গয়না, মোমবাতি, গিফট বক্স ইত্যাদি পণ্যের চাহিদা সব সময়ই থাকে। যারা সৃজনশীল কাজে দক্ষ, সহজেই ঘরে বসে এই ধরনের পণ্য তৈরি করে অনলাইন বা স্থানীয় বাজারে বিক্রি করতে পারেন।

অনলাইন কাপড়ের ব্যবসা

অনলাইন কাপড় বিক্রি বর্তমানে জনপ্রিয় ও লাভজনক একটি ব্যবসা। থোক বিক্রেতাদের থেকে কাপড় কিনে, অনলাইনে ফেসবুক পেজ বা ই-কমার্স সাইটে বিক্রি করা যায়। ট্রেন্ডি ও ডিজাইনের পোশাক বিক্রি করলে দ্রুত গ্রাহক আকর্ষণ সম্ভব এবং এতে বিনিয়োগও তুলনামূলক কম।