Logo
×

Follow Us

অর্থনীতি

এক যুগ পর সুগন্ধি চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা উঠছে

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:১৯

এক যুগ পর সুগন্ধি চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা উঠছে

চাহিদার তুলনায় দেশে সুগন্ধি চালের উৎপাদন বেশি। ছবি: সংগৃহীত

প্রায় এক যুগ পর বছর পর সুগন্ধি চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রতিবছর নির্দিষ্ট পরিমাণ সুগন্ধি চাল রপ্তানির অনুমতি দিতে পারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

গত সপ্তাহে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের খাদ্যপরিকল্পনা ও পর্যবেক্ষণ কমিটির সভায় এ বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। এখন কীভাবে কোন প্রক্রিয়ায় সুগন্ধি চাল রপ্তানি করা হবে, তা ঠিক করা হচ্ছে।

বিষয়টি নিয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ ইউনিটের (এফপিএমইউ) মহাপরিচালক মাহবুবুর রহমান বলেন, গত সপ্তাহে মন্ত্রণালয়ের একটি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিগগির এটা বাস্তবায়ন হবে। তাহলে উঠে যাবে সুগন্ধি চালের রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা।

২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে খাদ্য নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে সুগন্ধি চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় বিগত আওয়ামী লীগ সরকার।

দেশে প্রতিবছর চার লাখ টন সুগন্ধি চালের চাহিদা আছে। তবে উৎপাদন হয় এর বেশি। ২০২২-২৩ অর্থবছরের দেশের ৩৩টি প্রতিষ্ঠানকে ২৪ হাজার ৪১৬ টন সুগন্ধি চাল রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।

এক বছরের বেশি সময় ধরে সুগন্ধি চাল রপ্তানি বন্ধ। অভিযোগ আছে, নানা উপায়ে মিথ্যা ঘোষণা ও চোরাচালানের মাধ্যমে সুগন্ধি চাল আশপাশের দেশে পাচার হয়। সেখান থেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে চলে যায়।

অন্তর্বর্তী সরকার আসার পর সুগন্ধি চাল আবার রপ্তানির বিষয়ে আলোচনা শুরু হয়। গত অক্টোবরে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন সুগন্ধি চাল রপ্তানির বিষয়ে সুপারিশ করে। তখন সুগন্ধি চাল রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে এই সুপারিশ করে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান মইনুল খান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা দেখেছি, সুগন্ধি চালের সঙ্গে খাদ্যনিরাপত্তার তেমন একটা সম্পর্ক নেই। এই চাল ধনীরা খায়। উৎসব–পার্বণে এই চাল ব্যবহার করা হয়। এক কেজি সুগন্ধি চাল রপ্তানি করে যে অর্থ পাওয়া যাবে, তা দিয়ে চার কেজি মোটা চাল আমদানি করা যাবে। মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে প্রবাসী বাংলাদেশিদের কাছে এই চালের চাহিদা আছে।’

তার মতে, এই চাল রপ্তানির সময় যেন শতভাগ পরীক্ষা করা হয়, তাতে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে অন্য কোনো পণ্য রপ্তানি করা যাবে না।



Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫