Logo
×

Follow Us

অর্থনীতি

লেবু-শসার বাজার চড়া, সংকট কাটেনি বোতলজাত সয়াবিনের

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ মার্চ ২০২৫, ১৩:৫৪

লেবু-শসার বাজার চড়া, সংকট কাটেনি বোতলজাত সয়াবিনের

রোজা শুরুর প্রথম দিন থেকেই আরও অস্থির হয়ে উঠেছে রাজধানীর কাঁচাবাজারগুলো। ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল।

প্রতি বছর রোজা এলেই পণ্যের দাম বাড়তে এক ধরনের প্রতিযোগিতা শুরু হয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে। অনেক পণ্যের দাম হয়ে যায় লাগামহীন। বিশেষ করে রমজানে যেসব পণ্যের চাহিদা বেশি থাকে যেগুলোর দামে আগুন লেগে যায়। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। দিন চারেক আগেও যে সবজির বাজারে ছিল স্বস্তি, রোজা শুরুর একদিন আগে সেই বাজারে আগুন লেগে যায়। অনেকদিন ধরে সংকট দেখা দেওয়া বোতলজাত সয়াবিন তেলের সংকট আজও কাটেনি।


রোজার প্রথম দিন রবিবার সকালে রাজধানীর‍ কারওয়ান বাজার ও হাতিরপুল বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। দুই বাজারেই এসব পণ্যের দাম আগের দুইদিনের তুলনায় অনেক বেড়েছে। এ নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা গেছে।


রমজানে ইফতারের সময় শরবতের জন্য চাহিদা বাড়ে লেবুর। এই সুযোগে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বিক্রেতারা। দুই দিন আগেও বাজারে বড় আকারের যে লেবুর হালি ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে কেনা যেত, আজ সেই লেবু হালিপ্রতি ৭০-৮০ টাকা দরে বিক্রি করতে গেছে দেখে।


রাজধানীর কাঁঠালবাগানের বাসিন্দা মো. হাসান সকালে বাজার করতে কারওয়ানবাজারে যান। পাইকারি বাজার হওয়ায় তুলনামূলক এখানে কম দামে পণ্য পাওয়া যায় বলে তিনি বাসার পাশের বাজার ছেড়ে সকালে কারওয়ান বাজারে আসেন। কিন্তু পাইকারি বাজারে এসেও অনেকটা ক্ষোভ শোনা যায় তার কণ্ঠে। দেশকাল নিউজকে হাসান বলেন, “সারাদিন রোজা থেকে ইফতারে পরিবারের সদস্যদের গলা ভিজানোর জন্য একটু লেবুর শরবত খাব, সেখানেও ভালো খবর নেই। অস্বাভাবিক বেড়েছে লেবুর দাম। দুইদিন আগেও লেবু-সবজির দাম কম ছিল। কিন্তু আজ তা অনেক বেড়ে গেছে।”


লেবুর মতো দাম বেড়েছে শসার। গত সপ্তাহে দেশি শসার কেজি ছিল ৬০ থেকে ৮০ টাকা। আজ সেই শসা প্রতি কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। আর হাইব্রিড শসার কেজি ২০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৮০ টাকা। প্রকারভেদে বেগুনের দাম কেজিতে বেড়েছে ১৫ টাকা থেকে ২০ টাকা।


তবে অপরিবর্তিত আছে টমেটো ও ধনিয়া পাতার দাম। ছোট টমেটো ২০ টাকা ও বড় আকারের টমেটো ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।


বাজারের এই চড়া অবস্থার মধ্যে কিছুটা স্বস্তি আছে ছোলার বাজারে। মানভেদে প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকায়। আগের মাসেও কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হয়েছিল ইফতারের অন্যতম এই উপকরণটি।


কিছু পণ্যের বাজার চড়া থাকলেও পেঁয়াজ, আলু, আটার দাম স্থিতিশীল আছে। বিশেষ করে মৌসুমের কারণে পেঁয়াজ ও আলুর দাম অনেকটাই কম। চিনির সরবরাহ ভালো, দাম বাড়েনি। বরং গত বছরের তুলনায় দাম এবার কম।


বাজারে সংকট চলছে বোতলজাত সয়াবিন তেলের। সরবরাহ বন্ধ থাকায় তেলের এমন সংকট দেখা দিয়েছে বলে বিক্রেতারা জানান। উপায় না পেয়ে খোলা তেল কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। অবশ্য এজন্য নির্ধারিত দরের চেয়ে লিটারে ২৮-৩৩ টাকা বেশি গুনতে হচ্ছে।


গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৮৩০ টাকা কেজিতে আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকা কেজিতে। ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা, সোনালি মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ টাকা ও লেয়ার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ টাকা।


Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫