Logo
×

Follow Us

অর্থনীতি

সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ, বাড়ছে সবজির দামও

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৯:৪৩

সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ, বাড়ছে সবজির দামও

কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে পেঁয়াজের দাম আরও বাড়তে পারে বলে শঙ্কা ব্যবসায়ীদের। ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল

রোজার মাসের কিছুটা স্বস্তির পর ঈদ পরবর্তী সপ্তাহগুলোতে বাজারে অস্থিরতা বেড়েই চলছে। পেঁয়াজের দাম দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজিতে বেড়েছে প্রায় ২০ টাকা। কোরবানির ঈদে পেঁয়াজের বাজার অস্থির হয়ে ওঠার শঙ্কে ব্যবসায়ীদের। বৃষ্টি ও মৌসুম শেষ হওয়ায় সবজির বাজারেও স্বস্তি নেই।

শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে এমন তথ্য মিলেছে।

রাজধানীর এই বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ মানভেদে ৬০ থেকে ৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। যদিও পহেলা বৈশাখ থেকেই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছিল এই পণ্যটি। ফলে গত সপ্তাহে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আসন্ন কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে দাম আরও বাড়তে পারে বলে শঙ্কা ব্যবসায়ীদের।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, মৌসুম শেষ হওয়ায় কৃষকের হাতে পেঁয়াজ নেই। তবে মজুতদারদের দখলে পেঁয়াজ। মজুতের দিকে ঝুঁকে যাওয়ায় কমে গেছে সরবরাহ। ফলে এর প্রভাব পড়েছে আড়ত থেকে শুরু করে পাইকারি ও খুচরা বাজারে। পাশাপাশি পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রেখেছে ভারত। সব মিলিয়ে পেঁয়াজের দাম চড়া।

পেঁয়াজ বিক্রেতা আওলাদ হোসেন সাম্প্রতিক দেশকালকে বলেন, “পেঁয়াজ বাত্তি হইছে। তাই মজুদ করা শুরু হইসে। এদিকে আমদানিও কম। আমরাই পেঁয়াজ কিনছি ৫৩ টাকা দিয়া। বেচুম ৬০-৭০ টাকায়। গত সপ্তাহেই ৩৫ টাকা কেজি পেঁয়াজ বিক্রি করলাম। এখন হঠাৎ বাড়তাছে।” 

বৃষ্টির কারণে দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচেরও। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৮০ থেকে ১০০ টাকা। কোনো কোনো দোকানে মরিচের একদাম ১০০ টাকায় বিক্রি হতেও দেখা গেছে। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়।

পেঁয়াজ ও মরিচের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতা আবুল কালাম লিংকন। বারডেম হাসপাতালের এই চিকিৎসক বলেন, “মরিচের দাম হঠাৎ বেড়ে গেল। বিক্রেতারা বলছে, বৃষ্টির কারণে দাম বাড়ছে। পেঁয়াজের দামও বাড়ল। সবজির দামও কমেনি। বরং বাড়ছে।”

স্বস্তি ফেরেনি সবজিতে

রোজার মাসে যেটুকু স্বস্তি ছিল সবজির বাজারে তা যেন এখন অনুপস্থিত। প্রতিদিনই একটু একটু করে বাড়ছে দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে পাঁচ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে দাম। বৃষ্টি ও মৌসুম শেষ হওয়ায় সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়ছে জানালেন ব্যবসায়ীরা।

কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়, পটল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা প্রতি কেজি ৬৫ টাকা, করলা কেজি প্রতি ৭০ টাকা, গাজর ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ৯০ টাকা, পেঁপে ৭০ টাকা, শিম প্রতি কেজি ৭০ টাকা, শসা কেজি ৬০ টাকা।

এছাড়াও সজনে ডাটা প্রতি কেজি ১২০ টাকা যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা। কচুর লতি কেজি ১০০ টাকা। প্রতিটি মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা, চাল কুমড়া ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সবজি বিক্রেতা মো.রায়হান বলেন, “সিজন শেষ। আবার বৃষ্টি-বাদল হইতাছে। এজন্য সব সবজির দামও বাড়তাছে। সামনে দাম আরও বাড়ব।”

দাম স্থিতিশীল যেসব পণ্যের

আলুর দাম এখনও স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকায়। টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকা। আমদানি করা চায়না আদা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। দেশি আদা ২৪০ টাকা। দেশি রসুন প্রতিকেজি ১০০ টাকা। আর আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়। তবে কোরবানি ঈদের কারণে মশলার দাম বেড়ে বাজার অস্থিতিশীল হতে পারে বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা।

কমেছে মুরগির দাম

সরবরাহ বেশি থাকায় মুরগরি মাংসের দাম আগের চেয়ে কমেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। সোনালি কক মুরগি কেজিতে ২৭০ যা সপ্তাহে ছিল ৩০০ টাকা এবং সোনালি হাইব্রিড ২৪০ যা গত সপ্তাহে ২৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও গত সপ্তাহের তুলনায় ১০ টাকা কমে লাল লেয়ার ৩১০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৮০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে দেশি মুরগি ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে যা গত সপ্তাহে ৬৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

জননী মুরগির আড়তের বিক্রেতা আব্দুর ওয়াহাব সাম্প্রতিক দেশকালকে বলেন, “দেশি মুরগি ব্যাপারীরা পাঠায়। অন্য মুরগিরও আমদানি ভালো। এখন বেশি বেশি মুরগি আসতেছে তাই দাম কমছে। আবার কম আসতে শুরু করলে দাম বাড়তে থাকব।” 






Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫