আমদানি পণ্যে কিউআর কোড বাধ্যতামূলক করতে ১০ আইনজীবীর রিট

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২০ এপ্রিল ২০২৫, ২১:৪০

হাইকোর্ট। ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল
আমদানি পণ্যে কুইক রেসপন্স (কিউআর) কোড ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে রিট করেছেন ১০ আইনজীবী। রবিবার (২০ এপ্রিল) জনস্বার্থে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করা হয়।
বাণিজ্য সচিব, অর্থ সচিব, আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তর (সিসিআইই) এর প্রধান নিয়ন্ত্রক, আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তর (সিসিআইই), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন এর চেয়ারম্যান, বিএসটিআইসহ মহাপরিচালকসহ ছয়জনকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
রিটটি বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী মনিরুল ইসলাম মিয়া।
রিটে আমদানিকৃত পণ্যে ভোক্তা অধিকার রক্ষা, রাজস্ব ক্ষতি প্রতিরোধ এবং জনস্বাস্থ্য ও জনস্বার্থ সুরক্ষার জন্য একটি কেন্দ্রীয় অনলাইন যাচাইকরণ ব্যবস্থা গড়ে তোলা এবং কিউআর কোড সংযুক্তকরণ কেন বাধ্যতামূলক করা হবে না, এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়।
একই সঙ্গে এ বিষয়ে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ও জনস্বার্থ পরিপন্থি ঘোষণা করা হবে না, এবং কেন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হবে না—তা জানিয়ে রুল জারির আবেদন জানানো হয়।
আইনজীবী মনিরুল ইসলাম মিয়া বলেন, “বাজারে প্রচুর ভুয়া ও অননুমোদিত আমদানিকৃত পণ্য বিক্রি হচ্ছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। বিশেষ করে শিশুদের স্বাস্থ্য সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এ ছাড়া এ সব পণ্যের কারণে এতে সরকার বিপুল রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিশেষ করে শিশুদের স্বাস্থ্য সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।“
এ পরিস্থিতিতে, আমদানিকৃত প্রতিটি পণ্যে কিউআর কোডের মাধ্যমে যাচাইকরণ সুবিধা নিশ্চিত করা এবং অনুমোদিত আমদানিকারকদের একটি জাতীয় ডাটাবেস তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রিটটি করা হয়।
চলতি সপ্তাহে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানান তিনি।
রিট আবেদনকারী ১০ জন আইনজীবী হলেন:
মো. মনিরুল ইসলাম মিয়া, মো. রোকনুজ্জামান, রাগিব কবির, আবু শাহেদ, রেহেমিন চৌধুরী, আরফান সুলতানা, মো. সাইফুল ইসলাম, হাসান ইসহাক ভূঁইয়া, মো. আরিফ চৌধুরী এবং উম্মে আইমান জেনিব।