
ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ছোট গন্তব্যে যাতায়াতের এই বাহনটির পক্ষে-বিপক্ষে বিতর্কের যেমন শেষ নেই, তেমনি যাত্রীদের কাছে এর যে তুমুল চাহিদা, সেটাও অস্বীকার করার জো নেই।
বিপুল সংখ্যক মানুষ এই ধরনের বাহন চালিয়ে জীবিকা অর্জন করে, এর উৎপাদন, মেরামত আর কর্মসংস্থানের বিষয়টি হিসাব করলেও পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা একেবারেই কঠিন বিষয়, তা বলাই বাহুল্য।
ব্যাটারির রিকশা যদি চলতে দেওয়া না হয়, তাহলে বিপুল পরিমাণ মানুষের জীবিকার কী হবে, এই রিকশা তৈরি ও মেরামতে জড়িতদের কর্মসংস্থান আর এরই মধ্যে তৈরি হওয়া রিকশাগুলোর পেছনে বিপুল বিনিয়োগেরই বা কী হবে?
কিন্তু এসব প্রশ্নের জবাব পাওয়া কঠিন।
বাস্তবতা হলো, যাত্রীদের চাহিদা থাকায় চালকের সংখ্যা দিনকে দিন বেড়ে চলছে। তারা একটি সম্মিলিত শক্তি হয়ে উঠছেন। রাজপথ অবরোধ করে ভোগান্তি তৈরির মতো ক্ষমতাও অর্জন করেছেন তারা। এসব কারণে পুলিশ এমনকি সরকারও কঠোর হওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে পিছু হটেছে।
আওয়ামী লীগ সরকারে থাকাকালে ২০২৪ সালের মে মাসে ব্যাটারির রিকশার মান নির্ধারণে মান নিয়ন্ত্রণে সরকারি সংস্থা বিএসটিআইকে দায়িত্ব দেওয়ার কথা জানানো হয়। তবে এখনও সংস্থাটি কোনো সুনির্দিষ্ট মান নিধারণের বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি।
সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েট একটি রিকশার নকশা করে দিয়েছে। কিন্তু এ নিয়েও সরকারের এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেই।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জিল্লুর রহমান দেশকাল নিউজ ডটকমকে বলেন, “বুয়েট যে নকশা করে দিয়েছে, সেই নকশায় রিকশাগুলো প্রতিস্থাপন হবে। তাদের সংখ্যাও নির্দিষ্ট করা হবে।”
সেটা কত বছরের মধ্যে পারবেন?-এই প্রশ্নে তিনি বলেন, “সেটা লম্বা সময়। তবে শুরুটা এ বছরই হবে। ধরেন ডিসেম্বরের মধ্যেই হবে।”
তবে সংখ্যা সীমিত করে দিলেই তা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে কি না, এই প্রশ্ন থেকেই যায়।
বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তনের পর গড় সাড়ে ৯ মসে ব্যাটারির রিকশা বেড়ে যাওয়ার চিত্র দেখা যাচ্ছে। প্রধান সড়কগুলোতে তাদেরকে ঠেকাতে পারছে না পুলিশ।
জিল্লুর রহমানের তথ্য বলছে, ঢাকা দক্ষিণে নিবন্ধিত রিকশার সংখ্যা ৬৬ থেকে ৬৭ হাজার। আসলে কত আছে, সেটা তিনি নিজেই বলতে পারেননি। আর নিবন্ধিত কোনো ব্যাটারির রিকশা নেই।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সারোয়ার বলেন, “সরকারের বিভিন্ন সংস্থা অটোরিকশা নিয়ে নীতিমালা তৈরি করছে। ব্যাটারি রিকশার লাইসেন্স এবং চালকদের ট্রেনিং দেওয়া হবে। রিকশা চলবে শুধু ফিডার রোডে।”
“এই নীতিমালা গুলো বাস্তবায়ন হলে আশা করছি অটোরিকশা জনিত সমস্যাগুলো সমাধান হবে”, বলেন তিনি।
এগুলো তো দীর্ঘমেয়াদি। এই মুহূর্তে কী হবে?- এই প্রশ্নে এআরআই এর সহকারী অধ্যাপক সাইফুন নেওয়াজ বলেন, “যেন মূল সড়কে রিকশা না উঠে।”
এটা দেখার দায়িত্ব পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের।
ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তা মো. সারোয়ার বলেন, “আমাদের অটোরিকশা মালিক সমিতি সঙ্গে কথা হয়েছে যে তারা মূল সড়কে আসবে না। যারা আসবে রিকশা ডাম্পিং করলে মালিক সমিতি কিছু বলবে না।”
কর্মসংস্থানের কী হবে?
ব্যাটারির রিকশা চালক মো. মোসলেম বলেন, “এখন গাড়ি ধরলেই ডাম্পিং করে। জব্দ কইরা নিয়া যায়। এ রকম কইরা রিকশা বন্ধ করার আগে বিকল্প রোজগারের ব্যবস্থা যেন করে সরকার।”
অটো মালিক সমিতির সহ-সভাপতি মো. আরিফ হোসেন বাদলা প্রশ্ন তুলেছেন, চালক, রিকশা উৎপাদন, মেরামত, যন্ত্রাংশ কেনাবেচায় জড়িত লাখ লাখ নির্ভরশীল পরিবারের কী হবে?
“অটোরিকশা উৎপাদন বন্ধ করতে বলার আগে আমাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। আমার এখানে কর্মচারীরা কাজ করে আমি তাদের বেতন দেই। অটো উৎপাদন বন্ধ করে দিলে আমাদের উপার্জন বন্ধ হয়ে যাবে”, বলেন তিনি।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্ঘটনা গবেষণা সেন্টার-এআরআই এর সহকারী অধ্যাপক সাইফুন নেওয়াজ অবশ্য দেশকাল নিউজ ডটকমকে বলেছেন, “নিয়ন্ত্রণ করলে ভিন্ন পেশায় চলে যাবে। হকার সবাইকে সুযোগ দিলে বাসার সামনে বসে যাবে। জীবিকার কথা ভেবে তো ঝুঁকিপূর্ণ বিষয় নিতে পারি না।”
বিতর্ক কী নিয়ে
বিতর্কের কারণ হলো, চালকরা প্রশিক্ষিত নন, তারা সড়ক আইন জানেন না বা মানেন না এবং হুটহাট মহানগরের মূল সড়ক ও মহাসড়কে উঠে প্রাণঘাতি দুর্ঘটনার একটি নতুন কারণ হয়ে উঠছে এই বাহনটি।
নানা বিধিনিষেধ আরোপের চেষ্টা আর সমালোচনার মধ্যে মধ্যে প্রতিদিনই নামছে নতুন নতুন রিকশা। ২০২৪ সালের আগস্টের প্রথম সপ্তাহে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বিশেষ করে ঢাকায় এই রিকশার ঢল নেমেছে।
যে গ্যারাজগুলোতে পায়ে টানা রিকশা তৈরি হতো, তার অনেকগুলোতে এখন ব্যাটারিচালিত রিকশার কারখানায় পরিণত হচ্ছে, এমনকি পায়ে টানা রিকশায় সংযোজন করা হচ্ছে মোটর।
ঢাকা সিটি করপোরেশন সম্প্রতি ব্যাটারির রিকশার বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযান শুরু করেছে। কিন্তু অতীতে এই ধরনের অভিযানের সুফল মেলেনি।
কামাল হোসেন নামে এক গ্যারাজ মালিক দুর্ঘটনার কারণে রিকশা বন্ধের পক্ষে নন। দেশকাল নিউজ ডটকমকে তিনি বলেন, “বিভিন্ন মহাসড়কে মোটর সাইকেল দুর্ঘটনা করে মানুষ মারা গেছে, গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা গেছে।”
পুলিশ বা অন্য সংস্থার অভিযান বরাবর চালকদের বিরুদ্ধেই হয়, এমন মন্তব্য করে মো. মোসলেম নামে একজন প্রশ্ন তুলেছেন, ওয়ার্কশপ বা গ্যারাজে কেন যায় না অভিযানকারীরা।
ব্যাটারিচালিক রিকশার মালিকদের একটি মোর্চা আছে, যার নাম ‘অটো মালিক সমিতি’। সংগঠনের সহ-সভাপতি মো. আরিফ হোসেন বাদলা দেশকাল নিউজ ডটকমকে বলেন, “সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের এবং অটোরিকশা উৎপাদনকারীদের কাছে কোনো দিকনির্দেশনা আসেনি। দিকনির্দেশনা আসলেই আমরা নিজে থেকেই উৎপাদন বন্ধ করে দেবো।”
পক্ষে বিপক্ষে মত
রাজধানীর বকশীবাজার এলাকায় রিকশার জন্য অপেক্ষা করছেন আমিনা খাতুন। সামনে দিয়ে বেশ কয়েকটি ব্যাটারিচালিত রিকশা গেলেও তিনি তাদেরকে ডাকেননি।
দেশকাল নিউজ ডটকমকে তিনি বলেন, “আটো (ব্যাটারির রিকশা) উঠতে ভয় করে। প্রতিদিনই দেখি কোথাও না কোথাও দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। তাই সময় ও টাকা বেশি লাগলেও পায়ের রিকশায় যাই।”
তবে পিয়াস আহমেদ ব্যাটারির রিকশার পক্ষে। তিনি বলেন, “পায়ের রিকশায় পৌঁছাতে সময় বেশি লাগে এবং খরচও বেশি। ব্যাটারির ভাড়া তুলনামূলক কম।”
চাকরিজীবী তূর্য আহমেদের অবস্থান আবার মাঝামাঝি। তিনি বলেন, “ব্যাটারির রিকশায় সুবিধা-অসুবিধা দুটোই আছে। অসুবিধাগুলোর মধ্যে আছে, এর বেপরোয়া গতি। আর সুবিধা হলো, দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছানো যায় এবং খুব সহজে পাওয়া যায়। প্যাডালের রিকশা এখন তুলনামূলক কমে গেছে।”
পরিশ্রম কম, আয় বেশি
চালকদের কথায় স্পষ্ট যে, ব্যাটারির রিকশায় পরিশ্রম কম, আয় বেশি, আসনটাও তুলনামূলক আরামদায়ক। দূরের পথেও তুলনামূলক কম ভাড়ায় যাওয়া যায়।
ষাটোর্ধ্ব মো. হান্নান বিশ্বাসের বড় ছেলে মারা যাওয়ার পর পরিবারের হাল ধরতে বেছে নিয়েছেন ব্যাটারির রিকশা।
তিনি বলেন, “এ বয়সে অন্য কোথাও কাজ পাই না। ডান পায়ে আঘাত পাওয়ায় সাধারণ রিকশা চালানো আমার পক্ষে সম্ভব না।”
হাজারীবাগ এলাকায় পায়ে টানা রিকশার চালক আব্দুর রহমান বলেন, ব্যাটারির রিকশা আসার পর তার যাত্রী সংখ্যা কমে গেছে।
-কারণ কী?
জবাব এলো, “তাড়াতাড়ি যাওয়ন যায়, আবার হেরা ভাড়াও কম নেয়।”
কেবল ঢাকা না, ব্যাটারির রিকশা সারা দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে। সমালোচনা থাকলেও যাত্রীরা ব্যবহারও করেন দেদারসে।
ব্যাটারির রিকশার ওপর অসন্তুষ্ট সিএনজি অটোরিকশার চালক সাত্তার মিয়া। কারণ, তার যাত্রীতেও ভাগ বাসিয়েছে বাহনগুলো।
যে দূরত্বে সিএনজি অটোর চালকরা ভাড়া দুইশ থেকে আড়াইশ টাকা হাঁকেন, যেই দূরত্বে ব্যাটারির রিকশায় যাওয়া যায় ১০০ বা ১২০ টাকাতে।
সাত্তার মিয়া বলেন, “হ্যাগো জমা (মালিককে দিনে যে টাকা দিতে হয়) কম, তাই তারা কম ভাড়ায় যাত্রী নেয়। আমাদের তো জমা বেশি, গ্যাসের খরচা আছে। আমরা চাইলেও কম ভাড়ায় খ্যাপ মারতে পারি না।”
তিনি এও জানালেন, সিএনজি অটোরিকশা ছেড়ে তার পরিচিত অনেকে এখন ব্যাটারির রিকশা চালাচ্ছেন।
কারণ?
দিন শেষে আয়টা বেশি হয়।
সংখ্যা আসলে কত
সরকারি কোনো সংস্থায় এই পরিসংখ্যান নেই।
হাজারীবাগ এলাকায় একটি রিকশার গ্যারাজের মালিক মো. খলিল দেশকাল নিউজ ডটকমকে বলেছেন, গ্যারাজের হিসাবে ঢাকায় ব্যাটারির রিকশার সংখ্যা সাত লাখের বেশি।
সংখ্যাটি যে নিত্যদিন বাড়ছে, তা বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠা ওয়ার্কশপেই দেখা যায়।
মোহাম্মদপুরের বসিলা এলাকার বংশাল অটোরিকশা হাউজে ব্যাটারিচালিত রিকশা বিক্রি হয়। তবে এখানে রিকশা তৈরিও হয়।
গত বৃহস্পতিবার সেই ওয়ার্কশপে গোটা চারেক কর্মীকে বিভিন্ন উপকরণ ঝালাই দিতে দেখা গেল, অন্যরা এটা ওটা এনে দিচ্ছেন।
একেকটি রিকশা তৈরিতে লাগে চাকা, ব্যাটারি, মোটর, হর্ন, ব্রেক সিস্টেম।
এসব উপকরণ কোথায় পান?- এই প্রশ্নে বংশাল অটোরিকশা হাউজের মালিক মো. রিপন আহমেদ দেশকাল নিউজ ডটকমকে বলেন, “এগুলো আমরা খোলা বাজার থেকে সংগ্রহ করি।”
তার তথ্য বলছে, মোটর মূলত ব্যাটারির একটি অংশ চীন থেকে আমদানি করা হয়। হর্ন, ব্রেক সিস্টেমের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।
“আমার ওয়ার্কশপে শুধু জোড়া লাগানো হয়। এরপর পুরো রিকশাটা তৈরি করে বিক্রি করি। একটি রিকশা তৈরি করতে সপ্তাহখানেক সময় লাগে”, বলেন রিপন।
তেজগাঁওয়ে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পাশে মূল সড়কের পাশেই পায়ে চালানো রিকশায় মোটর লাগাতে দেখা গেল। কোনো গোপনীয়তা নেই, সবই চলছে প্রকাশ্য।
মোটর সংযোজন করতে থাকা মো. কাদির জানান, তেজগাঁওয়েই এমন ২৫ থেকে ৩০টা দোকান ও গ্যারাজ আছে। প্রতিটিতে ৩০ থেকে ৪০টা ব্যাটারির রিকশা থাকে।
ঢাকায় ব্যাটারির রিকশার বিরুদ্ধে অভিযানের মধ্যেও গ্যারাজ আর ওয়ার্কশপে নির্মাণ কাজ চলছেই।
হাজারীবাগ, কেরাণীগঞ্জ, গাবতলী থেকে বাবুবাজার পর্যন্ত বেড়িবাঁধের দুই পাশ, মুগদা, বাসাবোসহ নগরীর বিভিন্ন বাণিজ্যিক ও আবাসিক এলাকা বা উপকণ্ঠে এ রকম গ্যারাজ আর ওয়ার্কশপের সংখ্যা কত, সে হিসাব কেউ করেনি।
হাজারীবাগের মোড়ে মোড়ে গ্যারাজ। একেকটিতে ব্যাটারির রিকশার সংখ্যা ২০ থেকে ৮০টি।
মো. খলিলের গ্যারাজে রিকশার সংখ্যা ২০টি। দেশকাল নিউজ ডটকমকে তিনি বলেন, প্রথমে পায়ে টানা রিকশাই থাকত, গত সাত-আট বছরে এই পরিবর্তন এসেছে।
এখানে রিকশার রাখতে আকার ভেদে দিনে ৮০ থেকে ১৫০ টাকা দিতে হয়। এর মধ্যে ব্যাটারি চার্জের খরচও আছে।
অভিযান কেবল চালকদের বিরুদ্ধে কেন?
ওয়ার্কশপে যারা রিকশা তৈরি করে, তাদেরকে না ধরে কেন চালকদের ধরা হচ্ছে, এই প্রশ্নও করেছেন মোসলেম।
তিনি বলেন, “সরকার ধরে আমাগো মতো গরিবদের। তারা উৎপাদন করে, হের লাইগ্যাই তো আমরা পাই।”
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্ঘটনা গবেষণা সেন্টার-এআরআই এর সহকারী অধ্যাপক সাইফুন নেওয়াজ দেশকাল নিউজ ডটকমকে বলেন, “অভিযানগুলো মাঝেমধ্যে করতে হয়, ভয় পাইয়ে রাখতে হবে। কিন্তু প্রথমেই অভিযান করতে হবে যেখানে তৈরি হচ্ছে সেখানে, আর চার্জি স্টেশন বন্ধ করতে হবে।”
“প্রতিদিন ৫টা রিকশা ধরবেন, আর ৫০ বা বানাবে তা তো হবে না”, বলেন তিনি।
খরচ কত
এই প্রশ্ন করলে রিকশার ধরন কী হবে, সেই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। সড়কে তাকালেই হরেক রকমের রিকশা চোখে পড়ে।
কোনোটির চাকা চিকন, কোনোটির মোটা। কোনোটির কাঠামো লোহার, কোনোটির কাঠের। কোনোটি শুধু পায়ে চালিত রিকশার মধ্যেই মোটর লাগিয়ে অটোতে রূপান্তর করা হয়েছে, কোনোটিতে আবার কাঠামো পরিবর্তন হয়েছে।
বংশাল অটোরিকশা হাউজের মালিক মো. রিপন আহমেদ বলেন, “একেক ধরনের রিকশার দাম একেক রকম।
“ব্যাটারির দামের উপর নির্ভর করে রিকশার দাম। যে রিকশায় ভালো ব্যাটারি লাগানো হয় এর দাম বেশি।”
তবে কমপক্ষে ৬৫ হাজার টাকা লাগে, আর ১ লাখ ১০ হাজার টাকাতেও বানানো হয়। যেগুলো আকারে বড়, সেগুলো বানাতে দুই লাখের আশেপাশে খরচ পড়ে।