
২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষ দিনে দেশের রিজার্ভ রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে। আজ (১ জুলাই) বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩১ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলারে। এটি দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ তথ্যানুযায়ী, গত ৩০ জুন অর্থাৎ ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষ দিন পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ৩১৬৮৩ দশমিক ৯৭ মিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ এখন ২৬৬৬৩ দশমিক ৬৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এর আগে চলতি মাসের ২৯ তারিখ পর্যন্ত দেশের গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩১৩১৩ দশমিক ৭৫ মিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২৬৩২৫ দশমিক ৫৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
উল্লেখ্য, নিট রিজার্ভ গণনা করা হয় আইএমএফের বিপিএম-৬ পরিমাপ অনুসারে। মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বিয়োগ করলে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ পাওয়া যায়।
অর্থনীতিবিদরা মনেকেরছেন, রিজার্ভের এই ইতিবাচক প্রবণতা বৈদেশিক লেনদেন ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে স্বস্তির বার্তা দিচ্ছে।
গত বছর ৫ আগস্টরে আগে আওয়ামী লীগ সরকাররে শেষ দিকে রিজার্ভের পরিমাণ ২০ মিলিয়নের নিচে নেমে গিয়েছিলো। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকাররে পতনরে পর প্রবাসীরা বধৈ পথে টাকা পাঠানো বাড়িয়ে দেন। এই বাড়তি প্রবাসী আয় দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে স্বস্তি ফেরায়। এর ফলে রিজার্ভের ওপর চাপ কমে যায়। বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকার গত ১০ মাস ধরে বাংলাদশে ব্যাংক থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ রেখেছে।