প্রথম মাসে রাজস্ব ঘাটতি প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১ আগস্ট ২০২৫, ১৩:১৬

চলতি ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে শুল্ক-কর আদায়ে ঘাটতি হয়েছে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা। যদিও এ মাসে রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার ২৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
বুধবার এ মাসের শুল্ক-কর আদায়ের হালনাগাদ চিত্র প্রকাশ করেছে এনবিআর। সেখানে দেখা গেছে, জুলাইয়ে এনবিআর রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ছিল ৩০ হাজার ১১১ কোটি টাকা, কিন্তু আদায় হয়েছে ২৭ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা। ঘাটতি ২ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা।
গত মে ও জুন মাসে এনবিআরের আন্দোলনের কারণে গত অর্থবছরের বড় আকারের রাজস্ব ঘাটতি হয়। শেষ দুই মাসে কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আদায় হয়নি। গত বছর গণঅভ্যুত্থানের সময় রাজস্ব আদায়ে বিঘ্ন ঘটে। ওই দুই মাসে রাজস্ব খাতে যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করেছেন এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, কিন্তু জুলাইয়েও রাজস্ব আদায়ে গতি আসেনি।
এনবিআরের হিসাবে, গত জুলাইয়ে রাজস্ব আদায় ঘাটতি থাকলেও গত অর্থবছরের জুলাই থেকে চার হাজার কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ২১ হাজার ৯১৬ কোটি টাকা আদায় হয়েছিল। ওই মাসে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলছিল। কারফিউ চলেছিল কয়েক দিন।
এনবিআরের হিসাবে, এ বছরের জুলাইয়ে ভ্যাট থেকে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়। এই খাত থেকে আদায় হয়েছে ১১ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের জুলাই মাসে এই খাতে আদায়ের পরিমাণ ছিল ৮ হাজার ৫৭১ কোটি টাকা। এ হিসেবে গত জুলাই মাসে স্থানীয় পর্যায়ের মূসক আদায়ের প্রবৃদ্ধির হার ৩২ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
আয়কর ও ভ্রমণ কর খাতে গত জুলাই মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৬ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা যা গত বছরের এই সময়ে এ খাত থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৫ হাজার ১৭৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত জুলাই মাসে আদায় বেশি হয়েছে ১ হাজার ১২০ কোটি টাকা বেশি এবং এ খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২১ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
এ ছাড়া কাস্টম খাতে ৯ হাজার ৬০১ কোটি টাকা এবং আয়করে ৬ হাজার ২৯৪ কোটি টাকা আদায় হয়। গত অর্থবছরের জুলাই মাসে এই খাতে আদায় ছিল ৮ হাজার ১৭০ কোটি টাকা এবং প্রবৃদ্ধির হার ১৭ দশমিক ৫২ শতাংশ।
রাজস্ব আদায়ের এ ধারা ভবিষ্যতে অব্যাহত রাখার জন্য আয়কর, মূল্য সংযোজন কর এবং কাস্টমস শুল্ক-কর আদায়ে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারিদের প্রচেষ্টা আরও জোরদার করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নানাবিধ কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে বলে বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এত আরও বলা হয়, করদাতারা আইনের যথাযথ পরিপালন নিশ্চিত করে যথাযথ পরিমাণ কর পরিশোধের মাধ্যমে দেশ গড়ার কাজের অন্যতম অংশীদার হবেন মর্মে রাজস্ব বোর্ড আশাবাদী।