
বাংলাদেশ সরকারের লোগো
১৩টি ট্রাভেল এজেন্সির লাইসেন্স বাতিল করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটির প্রতিবেদনে এয়ার টিকিটের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
কমিটির প্রতিবেদনে ১৩টি ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে গ্রুপ বুকিং এর নামে অনির্দিষ্টকালের জন্য চাহিদাসম্পন্ন রুটের এয়ার টিকিট ব্লক করে রাখা, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপসহ সাব-এজেন্টের মাধ্যমে উচ্চ মূল্যে টিকিট বিক্রির প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এসব ট্রাভেল এজেন্সি বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অস্বাভাবিক দামে অতিরিক্ত মুনাফার উদ্দেশ্যে টিকিটের মজুতদারি, কালোবাজারি ও প্রতারণামূলক কাজে যুক্ত ছিল।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ও নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ এ কে এম মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত পৃথক আদেশে ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর লাইসেন্স বাতিল করা হয়।
বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ এর ৯ এর বিধান, বাংলাদেশ ট্রাভেল এজেন্সি (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২২ এর বিধি ১০ ও ১৫ লংঘন এবং নিবন্ধন সনদের গুরুত্বপূর্ণ শর্তাবলি লঙ্ঘন করায় এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
লাইসেন্স বাতিল হওয়ার তালিকায় রয়েছেন; কাজী এয়ার ইন্টারন্যাশনাল (প্রা.) লিমিটেড, সিটিকম ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল এজেন্সি (প্রা.) লি., আরবিসি ইন্টারন্যাশনাল, মেঘা ইন্টারন্যাশনাল এয়ার সার্ভিস, মাদার লাভ এয়ার সার্ভিস, জে এস ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরস, হাসেম এয়ার ইন্টারন্যাশনাল, ফোর ট্রিপ লিমিটেড, কিং এয়ার এভিয়েশন, বিপ্লব ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল এজেন্ট, সাদিয়া ট্রাভেলস, আত-তাইয়ারা ট্রাভেলস ইন্টারন্যাশনাল ও এন এম এস এস ইন্টারন্যাশনাল।