রাইস ব্র্যান অয়েল রপ্তানিতে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:০৫

রাইস ব্র্যান অয়েল বা ধানের কুঁড়ার তেল।
রাইস ব্র্যান অয়েল বা ধানের কুঁড়ার তেল রপ্তানিতে ২০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক (রেগুলেটরি ডিউটি) আরোপ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
বুধবার এনবিআর থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, কাস্টমস আইন, ২০২৩-এর আওতায় রপ্তানি নিয়ন্ত্রণে এই শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। পরিশোধিত ও অপরিশোধিত উভয় ধরনের কুঁড়ার তেলের ওপর এ শুল্ক প্রযোজ্য হবে।
ফেব্রুয়ারিতে রাইস ব্র্যান অয়েলের রপ্তানিতে ২৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল। তবে নতুন অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার পর সেই বিধান অকার্যকর হয়ে যায়। এরপর থেকে বাংলাদেশ রাইস ব্র্যান অয়েল মিলস অ্যাসোসিয়েশন পুনরায় শুল্ক আরোপের দাবি জানিয়ে আসছিল।
এনবিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অভ্যন্তরীণ বাজারে ভোজ্যতেলের সরবরাহ ও দাম স্থিতিশীল রাখতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে দেশে এই তেল ভোজ্যতেলের চাহিদার প্রায় ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ পূরণে সক্ষম।
বাংলাদেশে ধানের কুঁড়া থেকে ভোজ্যতেল উৎপাদনের শুরু হয় ২০১১ সালে পাবনার ঈশ্বরদীতে। সেখানে রশিদ অয়েল মিলস লিমিটেড ‘হোয়াইট গোল্ড’ ব্র্যান্ড নামে প্রথম রাইস ব্র্যান অয়েল উৎপাদন শুরু করে। এরপর আরও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এই খাতে বিনিয়োগ করে।
বর্তমানে দেশে ২১টি রাইস ব্র্যান অয়েল মিল রয়েছে, যাদের সম্মিলিত বার্ষিক উৎপাদনক্ষমতা ৪ লাখ ৫৩ হাজার টন। অন্যদিকে, দেশে ভোজ্যতেলের বার্ষিক চাহিদা ২২ থেকে ২৩ লাখ টন, যার ৯০ শতাংশ আমদানিকৃত সয়াবিন ও পাম তেল থেকে পূরণ করা হয়।
ভোজ্যতেলের আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমার প্রভাব পড়েছে দেশের বাজারেও। আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে সরকার পাম তেলের দাম প্রতি লিটারে ১৯ টাকা কমিয়ে ১৫০ টাকা নির্ধারণ করে। তবে সয়াবিন তেলের দাম রাখা হয় ১৮৯ টাকা।
গত ১৫ এপ্রিল সরকার লিটারপ্রতি সয়াবিন তেলের দাম ১৪ টাকা বাড়িয়ে ১৮৯ টাকা নির্ধারণ করে। এর আগে ৯ ডিসেম্বর দাম বাড়িয়ে তা ১৭৫ টাকা করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ব্যবসায়ীদের দাবির প্রেক্ষিতে সয়াবিন ও পাম তেলের আমদানি পর্যায়ে আগাম কর প্রত্যাহার করা হয়।