Logo
×

Follow Us

অর্থনীতি

২০২৬ অর্থবছরে বাড়বে প্রবৃদ্ধি: এডিবি

Icon

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬:৩৯

২০২৬ অর্থবছরে বাড়বে প্রবৃদ্ধি: এডিবি

প্রতীকী ছবি।

বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য এক ধরনের মিশ্র পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। সংস্থাটি বলছে, নানা অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মুখে ২০২৫ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৪ শতাংশে নেমে এলেও পরের অর্থবছরেই অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে। ২০২৬ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৫ শতাংশে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা দেখছে তারা।

পোশাক রপ্তানি স্থিতিশীল থাকলেও রাজনৈতিক পট-পরিবর্তন, ঘন ঘন বন্যা, শিল্পখাতে শ্রমিক অসন্তোষ এবং উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমে যাওয়াকে প্রবৃদ্ধির গতি কমার মূল কারণ হিসেবে দেখছে সংস্থাটি।

মঙ্গলবার প্রকাশিত এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক (এডিও) প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরেছে এডিবি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতের প্রবৃদ্ধি নির্ভর করবে মূলত প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধি, বিনিয়োগ আকর্ষণে ব্যবসায়িক পরিবেশের উন্নতি এবং নির্ভরযোগ্য জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করার ওপর।

এডিবির প্রতিবেদন অনুযায়ী, মূল্যস্ফীতির চাপ আগামী অর্থবছরে আরও বাড়তে পারে। পাইকারি বাজারে সীমিত প্রতিযোগিতা, বাজার তথ্যের অপর্যাপ্ততা, সরবরাহ শৃঙ্খলে সীমাবদ্ধতা এবং টাকার অবমূল্যায়নের কারণে ২০২৪ অর্থবছরের ৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২৫ অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশে পৌঁছাতে পারে।

তবে ইতিবাচক দিক হলো, চলতি হিসাবে ঘাটতি থেকে বেরিয়ে উদ্বৃত্তে ফিরতে পারে বাংলাদেশ। বাণিজ্য ঘাটতি কমে আসা এবং শক্তিশালী রেমিট্যান্স প্রবাহের কারণে ২০২৫ অর্থবছরে জিডিপির ০ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশের সামান্য উদ্বৃত্ত থাকতে পারে, যা ২০২৪ অর্থবছরের ১ দশমিক ৫ শতাংশ ঘাটতির তুলনায় বড় উন্নতি।

সংস্থাটি বলছে, ২০২৬ অর্থবছরে ‘ভোগ বৃদ্ধি’ হবে প্রবৃদ্ধির প্রধান চালিকাশক্তি, যার পেছনে থাকবে শক্তিশালী রেমিট্যান্স প্রবাহ এবং নির্বাচন-সম্পর্কিত ব্যয়। তবে সংকোচনমূলক মুদ্রা ও রাজস্ব নীতির কারণে এবং বিনিয়োগকারীদের সতর্কতার ফলে বিনিয়োগের গতি কিছুটা কমতে পারে।

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি রপ্তানির ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) তীব্র প্রতিযোগিতার মতো বৈশ্বিক বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতাগুলো রপ্তানি ও সার্বিক প্রবৃদ্ধির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই বর্ধিত প্রতিযোগিতার মুখে রপ্তানিকারকরা পণ্যের দাম কমাতে বাধ্য হতে পারেন।

এ বিষয়ে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং বলেন, “বাংলাদেশের বাণিজ্যের ওপর মার্কিন শুল্কের প্রভাব এখনও পুরোপুরি দৃশ্যমান হয়নি এবং ব্যাংকিং খাতের দুর্বলতা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। উচ্চতর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করা অপরিহার্য।”

তিনি আরও যোগ করেন, বাণিজ্য অনিশ্চয়তা এবং নীতিগত স্থিতিশীলতার অভাব অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। তাই টেকসই উন্নয়নের জন্য বিচক্ষণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বজায় রাখা এবং কাঠামোগত সংস্কার ত্বরান্বিত করা অত্যন্ত জরুরি।

১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এডিবি এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে কাজ করে। বাংলাদেশসহ ৬৮টি দেশ এই বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাংকটির সদস্য।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫