Logo
×

Follow Us

অর্থনীতি

ঋণ কর্মসূচির অগ্রগতি পর্যালোচনায় ঢাকায় আসছে আইএমএফ প্রতিনিধিদল

Icon

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৮:১৮

ঋণ কর্মসূচির অগ্রগতি পর্যালোচনায় ঢাকায় আসছে আইএমএফ প্রতিনিধিদল

আইএমএফের প্রতিনিধিদলটি আগামী ২৯ অক্টোবর ঢাকায় পৌঁছাবে এবং দুই সপ্তাহ অবস্থান করবে।

চলতি মাসের শেষে ঢাকায় আসছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি প্রতিনিধিদল। বাংলাদেশের জন্য চলমান ঋণ কর্মসূচির অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এই সফর। ঋণের ষষ্ঠ কিস্তির অর্থছাড় নির্ভর করছে এই সফরের ওপর।

অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সূত্র জানিয়েছে, আইএমএফের দলটি আগামী ২৯ অক্টোবর ঢাকায় পৌঁছাবে এবং দুই সপ্তাহ অবস্থান করবে। এর আগে ১৩ থেকে ১৭ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হবে।

ওই সভার পরই সংস্থাটির গবেষণা বিভাগের উন্নয়ন সামষ্টিক অর্থনীতি শাখার প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিওর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলটি বাংলাদেশ সফর করবে। সফরকালে দলটি বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ বিভাগ, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বিদ্যুৎ বিভাগ এবং জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে ঋণ কর্মসূচির শর্ত পূরণের সর্বশেষ অগ্রগতি খতিয়ে দেখবে।

২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশের জন্য ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করেছিল আইএমএফ। তবে সম্প্রতি এই ঋণের পরিমাণ ও মেয়াদ উভয়ই বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে সাড়ে তিন বছরের এই কর্মসূচির আকার বেড়ে ৫৫০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে এবং কিস্তির সংখ্যা ৭টি থেকে বেড়ে ৮টি হয়েছে। কর্মসূচির মেয়াদও ২০২৭ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এ পর্যন্ত পাঁচটি কিস্তিতে বাংলাদেশ মোট ৩৬৪ কোটি ডলার পেয়েছে। নতুন হিসাব অনুযায়ী, আরও ১৮৬ কোটি ডলার পাওয়ার কথা রয়েছে।

আইএমএফের এবারের সফরে পরিমাণগত কর্মক্ষমতা মানদণ্ড (কিউপিসি) পূরণের বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাবে। সংস্থাটির এই বাধ্যতামূলক শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংরক্ষণ, বিদেশি ঋণ নেওয়ার সীমা এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ। শর্ত অনুযায়ী, গত জুন শেষে বাংলাদেশের নিট আন্তর্জাতিক রিজার্ভ (এনআইআর) ১ হাজার ৭৪০ কোটি ডলার থাকার কথা থাকলেও এর বিপরীতে ছিল ২ হাজার ৭৩ বিলিয়ন ডলার। জ্বালানি ও সার আমদানির বকেয়া পরিশোধের লক্ষ্যমাত্রাও সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে।

তবে দুশ্চিন্তার প্রধান কারণ রাজস্ব আদায়। শর্ত অনুযায়ী, গত জুন পর্যন্ত ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৫৩০ কোটি টাকার রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল, যার বিপরীতে এনবিআর আদায় করেছে ৩ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা।

ঋণ কর্মসূচি নতুন করে সাজানোয় কিস্তির পরিমাণেও পরিবর্তন এসেছে। আগের সূচি অনুযায়ী, ষষ্ঠ ও সপ্তম কিস্তিতে ৫৩ কোটি ডলার করে পাওয়ার কথা থাকলেও এখন দুটি কিস্তিতে ৪৩ কোটি ডলার করে পাওয়া যাবে। সবশেষ অষ্টম কিস্তিতে ১০০ কোটি ডলার ছাড় করা হবে, যা ২০২৭ সালের জানুয়ারিতে পাওয়ার কথা। প্রতিনিধিদলের পর্যালোচনার পর সন্তুষ্টি সাপেক্ষে আগামী ডিসেম্বরে আইএমএফের নির্বাহী পর্ষদে ষষ্ঠ কিস্তির বিষয়টি ওঠার কথা থাকলেও বড়দিনের ছুটির কারণে সেই বৈঠক আগামী বছরের জানুয়ারিতে হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫