প্রশাসনিক সংস্কারে এনবিআরের মেগাপ্ল্যান: ৩,৫৯৭ পদে নিয়োগ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ১৭:০৯

রাজস্ব আহরণ জোরদার করতে এবং প্রশাসনিক কার্যকারিতা বাড়াতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কাস্টমস ও ভ্যাট প্রশাসনে এক বিশাল সম্প্রসারণ প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
রাজস্ব আহরণ জোরদার করতে এবং প্রশাসনিক কার্যকারিতা বাড়াতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কাস্টমস ও ভ্যাট প্রশাসনে এক বিশাল সম্প্রসারণ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। প্রশাসনিক সংস্কার, পুনর্গঠন ও সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে মোট ১২টি নতুন কমিশনারেট, কাস্টমস হাউস এবং বিশেষায়িত ইউনিট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ থেকে জারি করা এক সরকারি আদেশের মাধ্যমে এই মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এই উদ্যোগের ফলে বিভিন্ন স্তরে মোট ৩ হাজার ৫৯৭টি নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়েছে, যা দেশের রাজস্ব ব্যবস্থাকে নতুন গতি দেবে বলে মনে করছে এনবিআর।
এনবিআর সূত্র জানিয়েছে, নতুন সৃষ্ট এই বিশাল জনবলের মধ্যে ৩৭৩টি ক্যাডার পদ এবং ৩ হাজার ২২৪টি নন-ক্যাডার পদ রয়েছে। অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো পরোক্ষ কর আহরণকে আরও গতিশীল করা, রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি করা, ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করা এবং জাতীয় অর্থনীতিতে স্বনির্ভরতা অর্জনকে ত্বরান্বিত করা।
নতুন ১২টি কমিশনারেট, কাস্টমস হাউস ও বিশেষায়িত ইউনিট তৈরি এর মাধ্যমে কাস্টমস ও ভ্যাট কার্যক্রমের কার্যকারিতা বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। শুধু নতুন ইউনিট স্থাপনই নয়, বিদ্যমান ইউনিটসমূহের জনবলও বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এনবিআরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঢাকা বিমানবন্দরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তৃতীয় টার্মিনালের কাস্টমস কার্যক্রম এবং গোয়েন্দা কার্যক্রমের সম্প্রসারণে এই পদগুলো বিশেষভাবে কাজে লাগানো হবে। এতে করে শুল্ক ফাঁকি রোধ এবং চোরাচালান দমনে প্রশাসনিক সক্ষমতা বাড়বে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আত্মবিশ্বাসী যে এই ব্যাপক প্রশাসনিক সংস্কার ও সম্প্রসারণের ফলে দেশে ব্যবসার পরিবেশ আরও গতিশীল হবে এবং দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত হবে।
এনবিআর কর্মকর্তারা মনে করেন, এই পদক্ষেপের ফলে দেশের কর-জিডিপি অনুপাত উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে। একইসঙ্গে, বিনিয়োগের পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে, যা দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এনবিআর আশা করছে, তাদের এই উদ্যোগ বাংলাদেশের রাজস্ব ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করবে এবং আন্তর্জাতিক মানের সেবা প্রদান নিশ্চিত করবে।
দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে সহায়ক এই প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত রাজস্ব ব্যবস্থায় একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা।