মোবাইল ব্যাংকিংয়েই আসবে ক্ষুদ্র রপ্তানির ডলার
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ১২:৪২
মোবাইল ব্যাংকিং। প্রতীকী ছবি
মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) ও পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার (পিএসপি) প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবহার করে এখন থেকে ক্ষুদ্র মূল্যের ই কমার্স রপ্তানির আয় দেশে আনা যাবে। সর্বোচ্চ এক হাজার মার্কিন ডলার বা এর সমপরিমাণ অর্থের জন্য এই সুবিধা পাওয়া যাবে, যার জন্য প্রচলিত এক্সপি ফর্ম পূরণের বাধ্যবাধকতা থাকবে না।
ছোট পরিসরের অনলাইন ব্যবসার রপ্তানি আয় গ্রহণ প্রক্রিয়া সহজ ও দ্রুত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক এই উদ্যোগ নিয়েছে। সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ (এফইপিডি) থেকে এ সংক্রান্ত ‘বৈদেশিক মুদ্রা পরিপত্র নং ৪৩’ জারি করে ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
পরিপত্রে বলা হয়েছে, “এমএফএসপি এবং পিএসপি প্রতিষ্ঠানগুলো ১,০০০ মার্কিন ডলার বা সমপরিমাণ মূল্যের পণ্য রপ্তানির বিপরীতে অর্জিত রপ্তানি আয় দেশে ফেরত আনার ব্যবস্থা করতে পারবে।”
এতে আরও বলা হয়, “এর জন্য আলাদা এক্সপি ফর্ম ঘোষণার প্রয়োজন হবে না।”
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এই নির্দেশনাটি ২০২৫ সালের ৩১ জুলাই জারি করা বৈদেশিক মুদ্রা পরিপত্র নং ৩১ এর প্যারাগ্রাফ ৫৯ এর অনুসরণে দেওয়া হয়েছে। আগের সেই পরিপত্রে এমএফএস ও পিএসপি প্রতিষ্ঠানগুলোকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিদেশি পেমেন্ট গেটওয়ের সহযোগিতায় তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) সম্পর্কিত সেবার আয় দেশে আনার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, এই সেবা দেওয়ার আগে এমএফএস ও পিএসপিগুলোকে ই কমার্স রপ্তানিকারকদের অনবোর্ড করার সময় যথাযথ যাচাই বাছাই (ডিউ ডিলিজেন্স) সম্পন্ন করতে হবে এবং বিদ্যমান সব বিধিবিধান মেনে চলতে হবে।
বিল অব এক্সপোর্ট ইলেকট্রনিকভাবে পাওয়ার পর রপ্তানিকারকের হিসাবে অর্থ জমা হবে। এই অর্থ মনোনীত অথরাইজড ডিলার (এডি) ব্যাংকে রাখা সেটেলমেন্ট অ্যাকাউন্ট থেকে পরিশোধ করা হবে।
পরিপত্রে স্বাক্ষর করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগের পরিচালক মো. হারুন আর রশিদ। এতে বলা হয়েছে, পূর্বে জারি করা অন্যান্য সংশ্লিষ্ট নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে।
