বিশ্ববাজারে একটানা তৃতীয় সপ্তাহের মতো দরপতন ঘটল মূল্যবান ধাতু স্বর্ণের।
বিশ্ববাজারে একটানা তৃতীয় সপ্তাহের মতো দরপতন ঘটল মূল্যবান ধাতু স্বর্ণের। শক্তিশালী মার্কিন ডলার এবং ফেডারেল রিজার্ভের কঠোর অবস্থানের কারণে নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে স্বর্ণ তার উজ্জ্বলতা হারাচ্ছে।
বিনিয়োগকারীরা আপাতত বড় ধরনের সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন, যার ফলে মূল্যবান এই ধাতুটি একটি সীমিত পরিসরে লেনদেন হচ্ছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া।
প্রতিবেদন অনুসারে, মার্কিন ডলারের ধারাবাহিক শক্তি এবং ফেডারেল রিজার্ভ কর্মকর্তাদের সতর্কতামূলক মন্তব্য স্বর্ণের বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বাজার বর্তমানে একটি ‘অপেক্ষা ও পর্যবেক্ষণ’ পর্যায়ে রয়েছে, যেখানে বিনিয়োগকারীরা মার্কিন ডলার ও ট্রেজারি বন্ডের পরবর্তী গতিপথ স্পষ্ট হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন।
আন্তর্জাতিক বাজারে, ডিসেম্বর ডেলিভারির জন্য স্বর্ণের ফিউচার সপ্তাহজুড়ে ১৩.৩ ডলার বা ০.৩৩ শতাংশ বেড়ে শুক্রবার প্রতি আউন্সে চার হাজার ৯ দশমিক ৮ ডলারে স্থির হয়েছে। দাম কিছু সময়ের জন্য ৪,০০০ ডলারের উপরে উঠলেও ডলার শক্তিশালী হওয়ায় তা আবার কমে যায়।
তবে কিছু বিশ্লেষক মনে করছেন, স্বর্ণের জন্য কিছুটা আশার আলোও রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি শাটডাউনের কারণে কর্মসংস্থান ও মুদ্রাস্ফীতির মতো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক তথ্য প্রকাশে বিলম্ব হচ্ছে, যা বাজারে এক ধরনের ‘ডেটা শূন্যতা’ এবং অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।
বেসরকারি প্রতিবেদনগুলো শ্রমবাজারে দুর্বলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে, যা ফেডারেল রিজার্ভকে দ্রুত সুদের হার কমানোর জন্য চাপ দিতে পারে। সাধারণত, সুদের হার কমলে তা স্বর্ণের দামের জন্য সহায়ক হয়।
এর পাশাপাশি, চীনের খুচরা স্বর্ণের ওপর ভ্যাট ছাড় কমানোর সিদ্ধান্ত এশিয়ার বাজারে চাহিদাকে শীতল করেছে, যা স্বর্ণের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করেছে।
