৫ ব্যাংক একীভূতকরণের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ১৭:৪০
৫ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক ‘উল্লেখযোগ্য আর্থিক অনিয়ম, তারল্য সংকট এবং দীর্ঘমেয়াদি মূলধন ঘাটতির’ কারণে পাঁচটি ব্যাংককে ‘নন ফাংশনাল’ ঘোষণা করে।
পাঁচটি শরিয়াভিত্তিক ব্যাংক একীভূত করে একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান গঠনের সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী শাহিদুল ইসলামের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহসিব হোসেন আবেদনটি করেন।
রিটে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, অর্থ সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক চাপে থাকা এই ব্যাংকগুলোকে একীভূত করার পরিকল্পনাটি গত ৯ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন পায়।
একীভূত হওয়ার তালিকায় থাকা ব্যাংকগুলো হলো ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, “ইসলামী ব্যাংকিং সেগমেন্টে আর্থিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা ও ঝুঁকি কমানোর জন্য সরকার এই ব্যাংকগুলোকে একটি প্রশাসনিক কাঠামোর আওতায় আনতে চায়।”
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মনোনীত পাঁচ প্রশাসক বর্তমানে নতুন এই শরিয়াভিত্তিক ব্যাংক গঠনের প্রক্রিয়ায় কাজ করছেন। ব্যাংকটির নাম রাখা হচ্ছে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, নতুন ব্যাংকটির অনুমোদিত মূলধন হবে ৪০ হাজার কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন হবে ৩৫ হাজার কোটি টাকা।
এর মধ্যে সরকার সরবরাহ করবে ২০ হাজার কোটি টাকা। বাকি ১৫ হাজার কোটি টাকা প্রাতিষ্ঠানিক আমানতকে শেয়ারে রূপান্তরের (বেল ইন ব্যবস্থাপনা) মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে। এই অর্থ পরে একটি রেজোলিউশন পরিকল্পনার অধীনে ফেরত দেওয়া হবে।
গত ৫ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক ‘উল্লেখযোগ্য আর্থিক অনিয়ম, তারল্য সংকট এবং দীর্ঘমেয়াদি মূলধন ঘাটতির’ কারণে পাঁচটি ব্যাংককে ‘নন ফাংশনাল’ ঘোষণা করে।
পাঁচ প্রশাসককে দায়িত্ব দেওয়া হলেও ব্যাংকগুলোকে তাদের দৈনন্দিন কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
গভর্নর আহসান এইচ মনসুর আশ্বাস দিয়ে বলেন, “আমানতকারীদের অর্থ দ্রুতই ফেরত দেওয়া হবে।”
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক শেয়ারের মূল্য শূন্য ঘোষণা করায় গত মাসে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা তা ফেরত দেওয়ার দাবিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সামনে বিক্ষোভ করেন।
