আন্তর্জাতিক বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধির সম্ভাবনার কারণে বিশ্বের অন্যতম প্রধান শস্য রপ্তানিকারক দেশ রাশিয়ার গমের রপ্তানি মূল্য গত সপ্তাহে কমে গেছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধির সম্ভাবনার কারণে বিশ্বের অন্যতম প্রধান শস্য রপ্তানিকারক দেশ রাশিয়ার গমের রপ্তানি মূল্য গত সপ্তাহে কমে গেছে। সরবরাহ বাড়ার এই পূর্বাভাসের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের নতুন প্রতিবেদন এবং বাজারে আর্জেন্টিনার প্রতিযোগিতামূলক দাম বড় ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
রাশিয়ার শীর্ষস্থানীয় কৃষি পরামর্শক সংস্থা আইকার জানিয়েছে, গত সপ্তাহের শেষে ১২.৫ শতাংশ প্রোটিনযুক্ত রাশিয়ান গমের দাম প্রতি টনে ৩ ডলার কমেছে। ডিসেম্বরের দ্বিতীয়ার্ধে সরবরাহের জন্য বর্তমানে ফ্রি-অন-বোর্ড ভিত্তিতে এই গমের মূল্য দাঁড়িয়েছে ২২৯ মার্কিন ডলার।
আইকারের প্রধান দিমিত্রি রিলকো বলেন, “ইউএসডিএ এর সর্বশেষ প্রতিবেদন এবং আর্জেন্টিনার গমের প্রতিযোগিতামূলক মূল্য রাশিয়ার এফওবি দামের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলেছে।”
এদিকে, শুক্রবার ইউক্রেনের ব্যাপক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা সত্ত্বেও রাশিয়ার কৃষ্ণসাগরীয় বন্দর নোভোরোসিস্কের প্রধান শস্য টার্মিনালগুলো অক্ষত রয়েছে। কোনো ধরনের ক্ষতি বা চালান বন্ধের খবর পাওয়া যায়নি, ফলে রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।
প্রতিবেদনে ২০২৫-২৬ মৌসুমের জন্য বৈশ্বিক গমের মজুদের পূর্বাভাস বাড়িয়েছে। প্রতিবেদনে রাশিয়ার গম উৎপাদন ৮৬.৫ মিলিয়ন টনে উন্নীত করা হলেও, দেশটির রপ্তানির পূর্বাভাস ৪৪ মিলিয়ন টনে নামিয়ে আনা হয়েছে।
তবে আরেক পরামর্শক সংস্থা সোভেকন জানিয়েছে, রাশিয়ান গমের এফওবি মূল্য টনপ্রতি ২৩২ থেকে ২৩৩ ডলারে স্থিতিশীল রয়েছে, যা আগের সপ্তাহের মতোই।
অন্যদিকে, রাশিয়ার কৃষিমন্ত্রী অকসানা লুত জানিয়েছেন, ২০২৫ সালে দেশটি ১৩৫ মিলিয়ন টন শস্য উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অপরিবর্তিত রেখেছে। যদিও রপ্তানি মূল্য কিছুটা কমেছে, বিশ্লেষকরা আশা করছেন যে নভেম্বরে রাশিয়া থেকে গমের রপ্তানি বেশ ভালো পরিমাণেই হবে।
