Logo
×

Follow Us

অর্থনীতি

লভ্যাংশ বিতরণের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৭ জুন ২০২০, ২০:৪৯

লভ্যাংশ বিতরণের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার

ব্যাংকগুলোর নগদ লভ্যাংশ বিতরণের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে ২০১৯ সালের ঘোষিত লভ্যাংশ ৩০ সেপ্টেম্বরের আগে বিতরণ করতে পারবে তালিকাভুক্ত ব্যাংক।

রবিবার (৭ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে। ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১ (২০১৮ পর্যন্ত সংশোধিত) এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এই নির্দেশনা জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, পুঁজিবাজারে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অধিকতর স্বার্থ সংরক্ষণের উদ্দেশে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে যে, শুধুমাত্র ব্যক্তিশ্রেণির (স্থানীয় ও বিদেশি) বিনিয়োগকারীদের অনুকূলে বাংলাদেশ ব্যাংকের উপযুক্ত সার্কুলার এবং প্রচলিত অন্যান্য আইনের এ সংক্রান্ত বিধি-বিধান পরিপালন সাপেক্ষে ২০১৯ সালের জন্য ঘোষিত নগদ লভ্যাংশ এ বছরের ৩০ সেপ্টেম্বরের পূর্বে বিতরণ করা যাবে।

এর আগে চলতি বছরের ১১ মে, চলমান করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে বাণিজ্যিক ব্যাংকে বার্ষিক লভ্যাংশ (ডিভিডেন্ট) ঘোষণার নতুন নীতিমালা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মূলধন সংরক্ষণের ভিত্তিতে তিনটি ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ নগদসহ মোট ৩০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করতে পারবে ব্যাংকগুলো। তবে ২০১৯-এর সমাপ্ত বছরের ঘোষিত লভ্যাংশ ৩০ সেপ্টেম্বরের আগে বিতরণ করা যাবে না।

ওই সার্কুলারে বলা হয়, করোনাভাইরাসের কারণে দেশের অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকে শীর্ষ চাপ থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন প্রণোদনা ঘোষণা করেছে; তা বাস্তবায়নে কার্যকর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সামগ্রিকভাবে ব্যাংকিং খাতে সৃষ্ট চাপ মোকাবিলা করে ব্যাংকগুলো যাতে বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতিতে যথার্থ অবদান রাখতে পারে সেই লক্ষ্যে ব্যাংকগুলোর মুনাফা বণ্টন না করে মূলধন শক্তিশালী করার মাধ্যমে পর্যাপ্ত তারল্য বাজার বজায় রাখা একান্ত অপরিহার্য।

ব্যাংকগুলোর আর্থিক সক্ষমতা এবং ব্যাংকের শেয়ারের বিনিয়োগকারীদের রিটার্নের বিষয়টি সার্বিকভাবে বিবেচনা করে ২০১৯-এর সমাপ্ত বছরের জন্য ব্যাংকের শেয়ারের বিপরীতে লভ্যাংশ প্রদানের নতুন নীতিমালা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সার্কুলারে আরো বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ২০১৯ সালে মূলধন সংরক্ষণে সুবিধা নিয়েছে তারা তা সমন্বয় করার পর যদি আপতকালীন সুরক্ষা সঞ্চয়সহ (কনজারবেশন বাফার) ১১ দশমিক ২৫ থেকে সাড়ে ১২ শতাংশ পর্যন্ত মূলধন সংরক্ষণ করতে সক্ষম হয় তাহলে সে সব ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিয়ে তাদের সামর্থ্য অনুসারে সর্বোচ্চ ৫ নগদসহ মোট ১০ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারবে। এছাড়া যাদের আপদকালীন সুরক্ষা সঞ্চয়সহ ন্যূনতম মূলধন ১১ দশমিক ২৫ শতাংশের কম বা ন্যূনতম মূলধন ১০ শতাংশ হবে তারা সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ স্টক (বোনাস) ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারবে।

২০১৯ সালের সমাপ্ত বছরের ঘোষিত লভ্যাংশ ৩০ সেপ্টেম্বরের আগে বিতরণ করতে পারবে না ব্যাংকগুলো।

যেসব ব্যাংক ২০১৯ সালের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণীর ভিত্তিতে ইতোপূর্বে ডিভিডেন্ট ঘোষণা করেছে সে সব ব্যাংক ঘোষিত ডিভিডেন্টের পরিমাণ সার্কুলারের নির্দেশনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হলে তা স্থগিত করে শিগগিরই সংশোধন করতে হবে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫