
বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সূচক-২০১৯’এ ১৪১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১০৫তম। ওয়াল্ড ইকনোমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) এক রিপোর্টে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
ডব্লিউইএফের পার্টনার সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) রাজধানীর ইকনোমিক রিপোর্টার ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ রিপোর্ট প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, বিগত বছরের ন্যায় এ বছরেও দেশের সার্বিক সূচক ৫২.১ পয়েন্টে অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিপিডির রির্চাচ পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম গতকাল বুধবার সংবাদ সম্মেলনে রিপোর্টটি পাঠ করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সার্বিক স্কোর অপরিবর্তিত রয়েছে। পণ্য বাজার ও স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশের অবস্থানের উন্নতি হয়েছে। পণ্য বাজারে বাংলাদেশের অবস্থান ৩৬তম।
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, ২০১৯ জিসিআই’তে শীর্ষস্থানে রয়েছে সিঙ্গাপুর। এরপর যুক্তরাষ্ট্র, হংকং, নেদারল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, জাপান, জামার্নি, সুইডেন, যুক্তরাজ্য ও ডেনমার্কের অবস্থান।
দক্ষিণ এশীয় দেশসমূহের মধ্যে ভারতের অবস্থান শীর্ষে। ভারত ৬১.৪ স্কোর করে ৬৮তম অবস্থানে, ৫৭.১ স্কোর করে শ্রীলংকা ৮৪তম অবস্থানে, নেপাল ৫১.৬ স্কোর করে ১০৮তম অবস্থানে ও পাকিস্তান ৫১.৪ স্কোর করে ১১০তম অবস্থানে রয়েছে। ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরাম ২০০১ সালের পর থেকে এই সূচক প্রকাশ করে আসছে।
সিপিডি সংবাদ সম্মেলনে ‘বাংলাদেশ বিজনেস এনভারনমেন্ট স্টাডি-২০১৯’ এর ওপর একটি সমীক্ষা প্রকাশ করে। গোলাম মোয়াজ্জেম সমীক্ষাটি উপস্থাপনকালে বলেন, ‘বাংলাদেশকে ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে এবং বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা সূচকে দেশে অবস্থানের উন্নতি করতে চারটি প্রধান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রথমে বাংলাদেশকে শাসন ও প্রতিষ্ঠান, অবকাঠামো, আথির্ক ব্যবস্থা ও ব্যবসা পরিচালনার ওপর অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রযুক্তির অভাব রয়েছে, প্রয়োজনীয় নিয়ন্ত্রক কাঠামো ও দক্ষতার অনুপস্থিতি ও ব্যবসায়ীদের জন্য পরিস্কার কোনো দিক-নির্দেশনা না থাকায় উদ্বেগ বাড়ছে।’
সিপিডি পরিচালক মোয়াজ্জেম দক্ষতা, জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সরকারি সেবা, আর্থিক খাত ও পাবলিক সেক্টরে ব্যাপক রেগুলেটরি সংস্কারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানে সিপিডি নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন ও সিনিয়র রিচার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।