ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদের বাকি মাত্র দুই দিন। দেশের বিভিন্ন স্থানে বসেছে কোরবানির পশুর হাট। চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত পশু মজুদ থাকলেও হাটে রয়েছে ক্রেতা সংকট।
কোরবানির পশুর উপযুক্ত দাম না পাওয়ার অভিযোগ বিক্রেতাদের, আছে পুঁজি হারানোর শংকা। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে প্রতি বছরই গরু মোটাতাজা ও লালন পালন করেন খামারি ও কৃষকরা। ঈদে লাভের আশায় হাটে তোলেন পশু। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। কোরবানির পশুর হাটে খামারি ও কৃষকরা তাদের পশু নিয়ে হাজির হলেও হাটে নেই বিক্রেতার সমাগম।
এ সময়ে রাজধানীর গরুর হাটগুলোতে তিল ধারণের ঠাঁই থাকে না। কিন্তু এবারের হিসাব অনেকটাই ভিন্ন। যেমন কম পশুর সংখ্যা। তেমনি নেই ক্রেতাও। রাজধানীর বিভিন্ন পশুর হাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। এতে হতাশা প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরাও। অনেকেই বলছেন এ যেন মহামারিকালের পশুর হাটে মহামন্দা। কিন্তু এরপরেও যেসব ক্রেতা-বিক্রেতা হাটে এসেছেন তাদের মধ্যে তেমন সচেতনতা লক্ষ্য করা যায়নি।
বুধবার কোরবানির ঈদ উপলক্ষে রাজধানী ঢাকার হাটগুলোতে ঘুরে দেখা যায় আশানুরূপ ক্রেতা নেই। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছেন না ব্যবসায়ীরা। অনেকের মুখেই মাস্ক নেই। কেউই শারীরিক দূরত্ব মানছেন না। ক্রেতাদের সঙ্গে শিশুরাও হাটে আসছে। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে সড়ক, রেলপথ ও বাসাবাড়ির সামনে গরুর হাট বসেছে। করোনাভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ বছর ঢাকা শহরের বাইরে পশুর হাট বসানোর নির্দেশনা দিয়েছিল ঢাকা দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়র। কিন্তু এই নির্দেশনা অমান্য ঢাকা মহানগরী পশুর হাট চলে এসেছে সড়ক ও রেলপথের পাশে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এভাবে অবাধে বেচা-কেনা ও ঘুরে বেড়ানোর কারণে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আরো বাড়তে পারে। জনস্বাস্থ্যবিদ মুস্তাক হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, করোনা সংক্রমণে পশুর হাট খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই এবার রাজধানীতে পশুর হাট ইজারা না দিতে সুপারিশ করেছিল জাতীয় কারিগরি কমিটি। একই বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছিল স্বাস্থ্য বিভাগ। কিন্তু ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন কোনো নির্দেশনা মানেনি।
রাজধানীর কমলাপুর এলাকায় পশুর হাট বসানো হয়েছে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেলপথের দুই পাশে। এছাড়া এলাকার বিভিন্ন অলি-গলি ও সড়কপথে বসানো হয়েছে পশুর হাট। রেল ও যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে বলে জানায় স্থানীয়রা।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) অনেক অস্থায়ী হাটের গরু মানুষের বাসা-বাড়ির সামনের সড়কে রাখা হয়েছে। এতে এদিকে যেমন চলাচলের দুর্ভোগ ও অন্যদিকে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কমলাপুর, মেরাদিয়া বাজার ও দনিয়া কলেজ মাঠসংলগ্ন এলাকায়। এসব এলাকার অস্থায়ী পশুর হাটের কোনো সীমানা নেই।
রাজধানীর বিভিন্ন পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে বেপারিরা ট্রাক ও নৌযান বোঝাই করে রাজধানীর পশুর হাটে আসছেন। কিন্তু হাটের মূল স্থান আগেই দখল হয়ে যাওয়া এখন বিভিন্ন আবাসিক এলাকার বাসা-বাড়ি, সড়ক ও রেলপথের পাশের খালি জায়গায় বসানো হচ্ছে পশুর হাট।
সিটি কর্পোরেশন নির্দেশনা অনুযায়ী ২৮ জুলাই থেকে চাঁদরাত পর্যন্ত অস্থায়ী পশুর হাট কার্যকর থাকবে। কিন্তু ঢাকা দুই সিটি কর্পোরেশনে ২৭টি পশুর হাট ২০ জুলাই বসানো শুরু হয়েছে। দেশের উত্তরাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে বন্যার কারণে অনেক বেপারি আগেভাগেই পশু নিয়ে ঢাকায় চলে এসেছে। তাই ঢাকার আশপাশ জেলার অনেক বেপারি দেরিতে আসায় মূল হাটে জায়গা না পেয়ে হাটের আশপাশে সড়কে অবস্থান নিয়েছেন বলে জানান বেপারিরা।
কুষ্টিয়া থেকে ১০টি গরু নিয়ে রাজধানীর কমলাপুর এসেছেন কেরামত আলী। তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আজ দুপুরে এসে নেমেছি। একজন ক্রেতা এসে একটি গরুর দরদাম করেছেন। ৭০ হাজার পর্যন্ত বলেছেন। আমি এক লাখ টাকার কথা বলেছি। আর কোনো গ্রাহক এখনো আসেনি (সন্ধ্যা পর্যন্ত)। গতবছর এই হাটে প্রথমে ১০টি, পরে আরো পাঁচটি গরু এনে বিক্রি করেছিলাম। তাতে মোটামুটি ভালো একটা লাভ পেয়েছিলাম। এবারো কিছু লাভের আশায় খুব কষ্ট করে এখানে এসেছি।
এদিকে চট্টগ্রামের গরুর বাজারগুলোতে এখনো তেমন দেখা নেই ক্রেতার। দেশের করোনা পরিস্থিতির কারণে কোরবানির গরুর বাজারও করা হয়েছে সীমিত আকারে। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই এসব গরুর বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতার চলাচলের নির্দেশনাও রয়েছে সরকারের। তবে চট্টগ্রামের বিবিরহাট, সাগরিকাসহ বিভিন্ন গরুর বাজারে ক্রেতা সংকট থাকলেও এখনো গরু আসছে বিভিন্ন স্থান থেকে।
চট্টগ্রামের বিবিরহাট গরুর বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বাজারে ক্রেতাদের উপস্থিতি তেমন দেখা না গেলেও রয়েছে গরুর ব্যাপারীরা। প্রতিদিনই বাজারে ঢুকছে বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু। এখনো তেমন বেচাকেনা শুরু না হলেও লাভের আশায় ব্যাপারীরা আগেভাগেই হাটে নিয়ে এসে গরু-মহিষের পরিচর্যা করছেন। কেউ খাওয়াচ্ছেন খড়, রং লাগাচ্ছেন শিংয়ে আর কেউবা পানিতে ধুয়ে দিচ্ছেন পশুর শরীর।
চট্টগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, এ বছর কোরবানিতে গরু-ছাগলসহ পশুর চাহিদা রয়েছে ৭ লাখ ৩১ হাজার। চট্টগ্রামের গরু-ছাগলসহ কোরবানির পশু উৎপাদন হয়েছে ৬ লাখ ৮৯ হাজার ২২টি। গরু-ছাগলসহ কোরবানি পশুর উৎপাদন বেশি হওয়ায় চাহিদা এবং উৎপাদন প্রায় কাছাকাছি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো চট্টগ্রামে খামারি ও পারিবারিকভাবে গরু উৎপাদন বেড়েছে। নগর ছাড়াও জেলার পটিয়া, চন্দনাইশ, আনোয়ারা, বাঁশখালী, লোহাগাড়া, সাতকানিয়া, মিরসরাই, সীতাকুন্ড, সন্দ্বীপ, হাটহাজারী, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, ফটিকছড়ি, বোয়ালখালীতে খামারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে পশু পালন বেড়েছে।
করোনাকালীন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ৭টি গরুর বাজার বসিয়েছে। এছাড়া জেলার বিভিন্ন স্থানে প্রশাসনের সহযোগিতায় আরো বেশ কয়েকটি গরুর বাজার বসানো হচ্ছে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এদিকে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের সবচেয়ে বড় যশোরের সাতমাইল পশুর হাট খুলে দেয়া হলেও ক্রেতার অভাবে বিক্রি হচ্ছে না কোরবানির পশু। ফলে হতাশা বাড়ছে গরুর ব্যাপারীদের। সংশ্লিষ্টরা বলছে, করোনার কারণে দুর্ভোগে রয়েছেন সাধারণ মানুষ। যার কারণে হাটে ক্রেতা সংকট দেখা দিয়েছে।
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে যশোরের শর্শা উপজেলায় ৯৯০ জন খামারি ৩ হাজারের বেশি পশু প্রস্তুত করেছে। এছাড়া এখানে সবচেয়ে বড় সাতমাইল পশু হাটেও আনা হয়েছে বিপুল পরিমাণ পশু যা উপজেলার চাহিদার দ্বিগুণ। তবে ক্রেতার অভাবে হতাশয় পড়ছে বিক্রেতারা। তারা বলছে, গত বছর যে মাপের গরু ৬০-৬৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে এবার ৪০-৪৫ হাজারের বেশি দাম ওঠেনি তার।
ভারতীয় গরু আসা বন্ধ হওয়ায় এ বছর দেশীয় গরুর ব্যাপক আমদানি হলেও বেশিরভাগই ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হবে আশংকা ব্যাপারীদের। তারা বলছেন, গত বছরের চেয়ে এবার গরু দাম কম। আমি এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে, গরুর খামার করেছি। করোনার কারণে গরুর যে দাম আমার মনে হয়, গরুর খাবারের দাম উঠবে কিনা সন্দেহ।
এক ব্যাপারী বলেন, গ্রাম থেকে চড়াদামে পাঁচটা গরু কিনে নিয়ে আসছি, শহরের ব্যাপারীদের জন্য। কিন্তু তারা যে দাম বলছে আমি গরু ফেরত নিয়ে যাব, না এখানে ফেলে চলে যাব ভেবে কুল পাচ্ছি না।
শার্শা উপজেলার প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাসুমা আখতার বলেন, কোরবানির পশু মোটাতাজা করতে যাতে নিষিদ্ধ কোনো ওষুধ ব্যবহৃত না হয় সে বিষটি আমরা নিয়মিত মনিটর করছি।
গত বছর কোরবানির ঈদের আগে ভোলার পশুর হাটগুলো ক্রেতা-বিক্রেতাদের সরগরম থাকলেও করোনার প্রভাবে এবার পাল্টে গেছে চিত্র। বিক্রেতা থাকলেও সে অনুযায়ী ক্রেতা না থাকায় কমে গেছে দাম। বিক্রেতাদের একজন বলেন, গরুর বাজার খুবই খারাপ ৫০ হাজার টাকার গরু এখন বেচা যায় ৩৫-৪০ হাজার টাকায়। ক্রেতা না থাকায় ছাগল-গরুর বেচাকেনা হচ্ছেনা বললেই চলে।
গোপালগঞ্জে হাটে বেচাকেনা কম থাকায় হতাশ খামারি ও কৃষক। এদিকে শারীরিক দূরত্ব বজায় না রাখা এবং মাস্ক ব্যবহার না করার অভিযোগ উঠেছে। গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা গণমাধ্যমকে বলেন, সমস্যা সমাধানে বাহিরের হাটের সাথে-সাথে আমরা একটি অনলাইন প্লাটফর্মের ব্যবস্থা করেছি। কোন বিক্রেতা হাটে না গিয়েও এই অ্যাপের মাধ্যমেও তার গরু বা ছাগল বিক্রি করতে পারবেন।
ঈদ উল আজহার দুই দিন বাকি প্রতি বছর এমন সময় পশুর হাট জমে উঠলেও এবার করোনার প্রভাবে বরিশালে কোরবানির পশুরহাটে ক্রেতা সংকটে বিক্রেতারা হতাশায়। খোদ বরিশাল মহানগরীর ৪টি পশুরহাটে এখনো কেনাবেচা খুব একটা জমে ওঠেনি। এমনকি বরিশালের অন্যান্য জেলা-উপজেলার সাপ্তাহিক হাটেও ক্রেতা সমাগম খুবই কম। ফলে ব্যবসায়ী ও ইজারাদারদের দুঃশ্চিন্তা ক্রমশ বাড়ছে। অনেকেই পুঁজি নিয়ে ঘরে ফিরতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন।
প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের মতে, দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায় প্রায় ২০ হাজার খামারির কাছে এবার ১ লাখ ১৩ হাজার ১১২ টি ষাড়, প্রায় ২১ হাজার ৫শ বলদ, ১৭ হাজার গাভী, ৫ হাজার ৮শ মহিষ, ৩০ হাজার ছাগল ও খাশি এবং প্রায় ৬শ ভেড়া মজুদ রয়েছে। এছাড়াও পারিবারিক পর্যায়ে আরো প্রায় ১০ হাজার বিভিন্ন ধরনের কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে এ অঞ্চলে। এবার দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা উপজেলাতে প্রায় পৌনে ৩শ কোরবানির পশুর হাট বসার প্রাক্কলন করেছে প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর।
তবে ওয়াকিবাহল মহলের মতে করেনা সংকটে এবার দক্ষিণাঞ্চলে পশু কোরবানির সংখ্যা গত বছরের চেয়ে অন্তত ৩৫/৪০% হ্রাস পেতে পারে। সে হিসেবে ক্রেতা সংকটের কারণে কিছু সমস্যা হতেই পারে। তবে পশ্চিমাঞ্চল থেকে যদি কোরবানির গরু না আনা হয়, তবে এ অঞ্চলের পশু অবিক্রিত থাকার কথা নয়। প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের মতে গত বছর ঈদ উল আজহায় দক্ষিণাঞ্চলের ছয় জেলাতে ৪ লাখ ৩৪ হাজার পশু কোরবানি হয়েছিল। যা ছিলো আগের বছরের চেয়ে অন্তত ১৫% বেশি। কিন্তু এবার করোনা সংকটে সম্পূর্ণ বিপরিত চিত্র।
এদিকে রাজশাহী অঞ্চলের সবচেয়ে বড় পশুর হাট সয়লাব ভারত থেকে আসা গরুতে। হাটে উঠছে স্থানীয় খামারিদের লালনপালন করা দেশি গরুও। ফলে কোরবানির হাটেও গরুর দাম পাচ্ছেন না খামারি ও ব্যবসায়ীরা। করোনা এবং বন্যা এ সংকট আরো বাড়িয়েছে।
জানা গেছে, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্ত পথে এখনো আসছে ভারতীয় গরু। এসব গরুর একটি বড় অংশ উঠছে সিটিহাটে। কোরবানি টার্গেট করে আগে থেকে আনা ভারতীয় গরুও হাটে তুলছেন লোকজন। ফলে দাম নেই দেশি গরুর।
রাজশাহী প্রাণিসম্পদ দপ্তরের দেয়া তথ্যমতে, জেলায় গরু-মহিষ রয়েছে প্রায় এক লাখ। ছাগল রয়েছে দুই লাখ ২৮ হাজার। অন্যান্য পশু রয়েছে আরো ৪২ হাজার। সব মিলিয়ে কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে মোট ৩ লাখ ৭০ হাজার। কোরবানি শেষেও উদ্বৃত্ত থাকবে এক লাখ গবাদিপশু। এ পরিস্থিতিতে ভারত থেকে গরু আমদানির প্রয়োজন নেই।
তবু বানের পানির মতো ভেসে আসছে ভারতীয় গরু। এতে হতাশ স্থানীয় খামারিরা। তারা বলছেন, এবার বন্যার কারণে চাষিরা গবাদিপশু কম দামেই বিক্রি করে দিচ্ছেন। কিন্তু করোনার কারণে হাট জমছে না। এমনিতেই পশুর দাম কম। এর উপরে চেপে বসেছে ভারতীয় গরু। বাধ্য হয়ে কম দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে দেশি গরু। এতে খামারি ও ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।