পোশাকখাতের উন্নয়নে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ১০ সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০২০, ০০:০৮

মহামারি করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) সঙ্কটের মধ্যে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশকে পেছনে ফেলেছে ভিয়েতনাম। তবে তা নিয়ে খুব চিন্তিত নন দেশের রফতানি আয়ের প্রধান এ খাতের উদ্যোক্তারা।
রফতানির বাড়াতে ও তৈরি পোশাক খাতের ব্যবসা সহজ করতে ১০টি সুপারিশ তৈরি করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এতে বিদেশি বিনিয়োগের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান অবসানের সুযোগও রাখা হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, পোশাক খাতে ঢালাওভাবে বিদেশি বিনিয়োগ সুযোগ না দিয়ে ফাইবার ও ওভেন ফেব্রিক্স উৎপাদনে সুযোগ রাখা যেতে পারে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিকে থাকতে হলে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা জরুরি।
তৈরি পোশাকশিল্পে 'মেড ইন বাংলাদেশের' পরিচিতি বিশ্বজুড়ে। বর্তমানে প্রতিযোগিতার এই বাজারে পোশাকখাতে অনেক দেশ এগিয়ে যাওয়ায় নতুন করে ভাবতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। এ অবস্থায় ব্যবসা সম্প্রসারণ ও সহজীকরণে নীতিমালা ও কিছু নির্দেশনা তৈরি করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের ১০টি সুপারিশের মধ্যে রয়েছে- রপ্তানির কাগজপত্র বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশ-সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান, পণ্য রপ্তানির সময়সীমা কমানো, ইউরোপের বাজারে জিএসপি প্লাস সুবিধা নিশ্চিত করা, ওয়ানস্টপ সার্ভিস কার্যকর, বিশ্ববাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধাপ্রাপ্তির উদ্যোগসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ।
ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, ব্যবসা সম্প্রসারণে এসব সুপারিশ প্রয়োজনীয় হলেও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে রয়েছে নানা সমস্যা। এছাড়া পোশাকশিল্পের সব ক্ষেত্রে নয় কেবল বিশেষ কিছু জায়গায় বিদেশি বিনিয়োগ হতে পারে বলেও জানান তারা।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, পোশাক খাতের চ্যালেঞ্জগুলো শনাক্ত করে সমাধানের উদ্যোগ নিলে দ্রুত রপ্তানি সম্ভব হবে। একই সঙ্গে ব্যবসা পদ্ধতি সহজ করার পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগ উন্মুক্ত করার পক্ষেও মত বিশ্লেষকের।
ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, লোকসানে থাকা ব্যবসা বন্ধ করতে নীতিমালা প্রণয়ন করায় সুবিধা হবে।