
বিগত এক মাসের বেশি সময় ধরে অব্যাহত রয়েছে শাক-সবজির ও নিত্যপণ্যের বাজারের চড়া দাম। এদিকে, দাম বেশি রয়েছে চালের খুচরা বাজারেও।
আজ শুক্রবার (২ অক্টোবর) রাজধানীর রামপুরা, মগবাজার, মালিবাগ, মালিবাগ রেলগেট, শান্তিনগর, সেগুনবাগিচা, ফকিরাপুল, মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি কলোনি বাজার ও খিলগাঁও বাজার ঘুরে এমন চিত্রই দেখা যায়।
সবজিভেদে পাঁচ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত দাম বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। সবজির পাশাপাশি বাড়তি রয়েছে শাকের বাজারও। এদিকে শাক-সবজির নতুন করে দাম বাড়া নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে ক্রেতা ও বিক্রেতার।
এসব বাজারে কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে প্রতিকেজি বরবটি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা, সিম ১৮০ টাকা, গাজর ৯০ থেকে ১০০ টাকা, বেগুন আকারভেদে ৭০ থেকে ১১০ টাকা, ধনিয়াপাতা ২৫০ থেকে ২৭০ টাকা।
কেজিতে পাঁচ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে প্রতিকেজি দেশি শসা বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা, হাইব্রিড শসা ৬০ টাকা, করলা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, উস্তা ৮০ থেকে ৯০ টাকা, মানভেদে ঝিঙা-ধন্দুল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, কাঁকরোল আকারভেদে ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পটল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, পেঁপে ৩৫ থেকে ৫০ টাকা, কচুর ছড়া ৬০ টাকা, আলু ৪০ টাকা, কচুর লতি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। দাম অপরিবর্তিত আছে টমেটো, লাউ, জালি কুমড়া ও কাঁচাকলার।
এসব বাজারে প্রতিকেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, প্রতিহালি কাঁচাকলা ৪০ টাকা, প্রতি পিস জালি কুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা, লাউ ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
বিক্রেতারা বলছেন, সবজির সিজন না হওয়ায় প্রতি বছর এ সময়ে শাক-সবজির দাম বাড়তি থাকে। এবার বন্যায় ফসলের ক্ষতি হওয়ায় দাম আরো বেড়েছে।
আর ক্রেতাদের অভিযোগ, বাজারে একটি জিনিসের দাম বাড়লে অপরটির দাম বাড়িয়ে দেন বিক্রেতা। দাম বাড়ার পেছনে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট কাজ করছে।
এদিকে, আগের দাম রয়েছে ডাল, চিনি ও ভোজ্যতেলের বাজারে। বাজারে বর্তমানে প্রতিকেজি ডাবলি ডাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, অ্যাঙ্কার ৫০ থেকে ৫২ টাকা, দেশি মসুর ডাল ৯০ থেকে ১২০ টাকা। বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১০২ টাকায় চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা কেজিদরে।
আগের চড়া দামেই বাজারে চাল বিক্রি হচ্ছে। এসব বাজারে খুচরায় প্রতিকেজি আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, পায়জাম ৪৮ টাকা, মিনিকেট ৫৮ টাকা, জিরা মিনিকেট ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা, নাজিরশাইল ৫৫ টাকা, পোলাও চাল (খোলা) ৯৫ থেকে ১০০ টাকা কেজিদরে।
এসব বাজারে খাসির মাংসের দাম বাড়লেও অপরিবর্তিত (আগের দাম) রয়েছে গরুর মাংস, মাছ, মুরগির দাম। তবে ডজনে কিছুটা দাম কমেছে ডিমের। এদিকে কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৮২০ টাকা।
মুরগি ২২০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৬০ থেকে ২৮০ টাকা, দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা কেজিদরে। তবে অপরিবর্তিত আছে মাছের বাজার।
বাজারে প্রতিকেজি রুই (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২৮০ টাকা, মৃগেল ১৬০ থেকে ২৫০ টাকা, পাঙাস ১০০ থেকে ১৬০ টাকা, কাতল ১৭০ থেকে ২৮০ টাকা, তেলাপিয়া ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, কৈ ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, পাবদা ২৭০ থেকে ৩০০ টাকা, কাঁচকি মাছ ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, মলা ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, দেশি টেংরা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, শিং (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৬০০ টাকা, দেশি চিংড়ি (ছোট) ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজিদরে।
বর্তমানে প্রতি সোয়াকেজি থেকে দেড়কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে এক হাজার টাকা, প্রতি এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা, প্রতি ৭৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশে ৫৫০ টাকা কেজিদরে, প্রতি ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা, ছোট ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি।
পেঁয়াজ ও আদার বাজার অপরিবর্তিত থাকলেও দাম বেড়েছে রসুনের। এসব বাজারে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা।
আর বর্তমানে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজিদরে, চায়না আদা বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকা ও কেরালার আদা ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা।
আর বাজারে খাসির মাংসের দাম বাড়লেও অপরিবর্তিত রয়েছে গরুর মাংস, মাছ, মুরগি, ডাল ও গরম মসলার বাজার। তবে কিছুটা কমেছে ডিমের দাম।