রেমিট্যান্স প্রবাহে বাংলাদেশ বিশ্বে অষ্টম: বিশ্বব্যাংক

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২০, ১৩:১৩

প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ (রেমিট্যান্স) প্রবাহের ক্ষেত্রে ২০২০ সালে বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম হবে।
গতকাল শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের সদরদফতর থেকে ‘কভিড-১৯ ক্রাইসিস থ্রো মাইগ্রেশন লেন্স’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনের প্রক্ষেপণ অনুযায়ী, এ বছর করোনাভাইরাসের মধ্যেও দক্ষিণ এশিয়ার দুইটি দেশের রেমিট্যান্স বাড়বে। যার মধ্যে বাংলাদেশের বাড়বে আট শতাংশ। মূলত ভ্রমণ নিয়ন্ত্রণের কারণে অপ্রাতিষ্ঠানিক থেকে প্রাতিষ্ঠানিক চ্যানেলে রেমিট্যান্স বৃদ্ধি পাওয়ায় কভিডের মধ্যেও রেমিট্যান্স বাড়বে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স আসবে ২০ বিলিয়ন ডলার। ফলে পরিমাণের দিক থেকে শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ থাকছে অষ্টম স্থানে।
তালিকার প্রথমে রয়েছে ভারত (৭৬ বিলিয়ন ডলার), দ্বিতীয়তে চীন (৬০ বিলিয়ন ডলার) আর তৃতীয়তে মেক্সিকো (৪১ বিলিয়ন ডলার)। শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের আগে দক্ষিণ এশিয়ার আরেকটি দেশ পাকিস্তান রয়েছে ষষ্ঠ অবস্থানে। দেশটির রেমিট্যান্সের পরিমাণ হতে পারে ২৪ বিলিয়ন ডলার।
ভারত পরিমাণের দিক থেকে শীর্ষে থাকলেও এ বছর দেশটির রেমিট্যান্স নয় শতাংশ কমবে। আর সামগ্রিকভাবে দক্ষিণ এশিয়ার রেমিট্যান্স কমবে চার শতাংশ। তবে পাকিস্তানের রেমিট্যান্স ৯ শতাংশ বাড়বে।
বিশ্বব্যাংক বলেছে, ২০২০ সালে সামগ্রিকভাবে বিশ্বে রেমিট্যান্স কমবে সাত শতাংশ। তবে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপির) অনুপাতে বাংলাদেশ রেমিট্যান্স আহরণের ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে চতুর্থ, যা জিডিপির ৬.২ শতাংশ। এক্ষেত্রে প্রথমে রয়েছে নেপাল (২৩ শতাংশ), দ্বিতীয়তে পাকিস্তান (৯.১ শতাংশ) ও তৃতীয় স্থানে আছে শ্রীলংকা (৮.২ শতাংশ)।
জিডিপির অনুপাতে রেমিট্যান্স বাড়ানো জাতিসংঘ নির্ধারিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের (এসডিজি) লক্ষ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম। পাশাপাশি রেমিট্যান্স পাঠানোর খরচ কমানো ও প্রবাসী শ্র্রমিকদের নিয়োগ প্রক্রিয়ার খরচ কমানোও এসডিজির লক্ষ্য। বাংলাদেশ এই খরচ কমিয়ে আনতে রেমিট্যান্স প্রেরণের ওপর গত বছরের জুলাই থেকে ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দিচ্ছে। এতে রেমিট্যান্স বৃদ্ধি অব্যাহত আছে।
চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে প্রায় এক হাজার ৫৫০ কোটি (১৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। রেমিট্যান্সের বর্তমান গতিপ্রবাহ অব্যাহত থাকলে পুরো বছরে ১৮ থেকে ১৯ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে ২০১৯ সালে। যার পরিমাণ এক হাজার ৮৩৩ কোটি মার্কিন ডলার। করোনা মহামারির মধ্যে চলতি বছরও বাংলাদেশের রেমিট্যান্স বাড়ছে আশানুরূপ গতিতে।