
প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সে উল্লম্ফন অব্যাহত রয়েছে। প্রবাসী বাংলাদেশিরা চলতি বছর চতুর্থবারের মতো ২০০ কোটি মার্কিন ডলারের উপর রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন।
সদ্য সমাপ্ত নভেম্বর মাসে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের পরিমাণ ছিল ২০৭ কোটি ৮০ লাখ ৪০ হাজার (২.০৮ বিলিয়ন), যেটা গত বছর একই সময় ছিল ১৫৫ কোটি ডলার। নভেম্বরে গত বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
তবে অক্টোবরের তুলনায় নভেম্বরে রেমিটেন্স কিছুটা কমেছে। অক্টোবরে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের পরিমাণ ছিল ২১১ কোটি ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) রেমিটেন্সের হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায়- চলতি অর্থবছরের পাঁচ মাসের চার মাসেই ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিটেন্স দেশে এসেছে। সবমিলিয়ে প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) এসেছে এক হাজার ৯০ কোটি ৪৪ লাখ (১০.৯০ বিলিয়ন) ডলার। যেটা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৭ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার। এই অঙ্ক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২.৮ বিলিয়ন ডলার বা ৪১ দশমিক ৩২ শতাংশ বেশি।
বাংলাদেশের ইতিহাসে পাঁচ মাসে এত রেমিটেন্স আগে কখনো আসেনি। গত পুরো অর্থবছরে যে রেমিটেন্স এসেছিল, তার ৬০ শতাংশ এবার পাঁচ মাসেই চলে এসেছে।
আরেকটি লক্ষণীয় ব্যাপার হলো, গত জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ মাসে একমাত্র আগস্ট বাদে বাকি চার মাসে রেমিটেন্স ২০০ কোটি ডলারের উপরে এসেছে। আগস্টে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৯৬ কোটি ডলার।
করোনাভাইরাস মহামারিতে অচলায়তন বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে রেমিটেন্স প্রবাহ অর্থনীতির বিশ্লেষকদের কাছে বিস্ময়ের উপাখ্যান হয়ে আছে।
অবশ্য অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের মতে, প্রণোদনা আর বৈধ পথে অর্থ পাঠানো বৃদ্ধি পাওয়ায় রেমিটেন্স বাড়ছে।
দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বিভিন্ন দেশে থাকা এক কোটিরও বেশি বাংলাদেশির পাঠানো অর্থ। দেশের জিডিপিতে সবমিলিয়ে এই রেমিটেন্সের অবদান ১২ শতাংশের মতো।
রেমিটেন্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতি গতিশীল রাখায় প্রবাসীদের ধন্যবাদ জানান অর্থমন্ত্রী।