
যেসব খাতে উৎসে কর কর্তন করা হয়, সেখানে আগামী বাজেটে বিদ্যমান কর হার কমতে পারে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য (আয়কর নীতি) মো. আলমগীর হোসেন।
তিনি বলেন, উৎসে কর হার কমানোর চিন্তা চলছে। আগামী বাজেটে হয়তো এমন ঘোষণা আসতে পারে। এর পাশাপাশি কর ব্যবস্থাপনাকে ডিজিটালাইজ করার অংশ হিসেবে অনলাইনে কর প্রদানের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
এ লক্ষ্যে আগামী বছর কতিপয় শ্রেণীর করদাতাকে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করার চিন্তাভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানান।
গতকাল শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিজয়নগরে পল্টন টাওয়ারে ইআরএফ কার্যালয়ে আয়কর বিষয়ক এক কর্মশালায় এসব কথা বলেন তিনি।
ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গোল্ডেন বাংলাদেশ যৌথভাবে ‘রিটার্ন ফরম পূরন ও আয়কর’ বিষয়ক কর্মশালার আয়োজন করে। ইআরএফ সভাপতি শারমিন রিনভি এতে সভাপতিত্ব করেন। কর্মশালায় আয়কর বিষয়ে বিষয়ে খুঁটিনাটি বিষয়ে আলোচনা করেন গোন্ডেন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম। ইআরএফ সাধারন সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় এতে ইআরএফের সহসভাপতি এম শফিকুল আলমসহ সিনিয়র সদস্যরা বক্তব্য দেন।
আলমগীর হোসেন বলেন, আয়কর আইন, রিটার্ন ও আয়কর প্রদান ব্যবস্থা সহজ হলে করের আওতা বাড়বে। করদাতাদের মধ্যে প্রাথমিক করভীতি কমবে। করদাতা নিজেই রিটার্ন পূরণ ও জমা দিতে পারবেন।
এ লক্ষ্যে এনবিআরের নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরে তিনি বলেন, আগামী জুনের মধ্যে নতুন আয়কর আইনের একটি ভিত্তি দাঁড়িয়ে যাবে। আইনটি বাংলায় সহজবোধ্যভাবে তৈরি হচ্ছে। এছাড়া কর ফাঁকি রোধে বিআরটিএসহ একাধিক প্রতিষ্ঠানের তথ্যভাণ্ডারের সাথে আয়কর বিভাগের যোগসূত্র স্থাপনের কাজও শেষ পর্যায়ে।
তিনি আরো বলেন, আয়কর রিটার্নকে অনলাইনভিত্তিক করতে গত কয়েক বছর ধরে এনবিআর কাজ করে আসলেও এখনো পুরোদমে অনেকক্ষেত্রে ব্যবহার হয়নি। তিনি গত এক দশকে আয়কর আহরণ ও করদাতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এনবিআরের অগ্রগতি তুলে ধরেন।
এ সময় বক্তারা মাঠ পর্যায়ে কর ভীতির বিষয়টি তুলে ধরে তা নিরসনে রাজস্ব বোর্ডকে উদ্যোগ নেয়ার পাশাপাশি কর আদায়সহ এ সংক্রান্ত পুরো ব্যবস্থাপনা আরো সহজ ও করদাতাবান্ধ করার উপর গুরুত্ব দেন। অনুষ্ঠানে গোল্ডেন বাংলাদেশ প্রকাশিত নতুন পাঁচটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। -বাসস