
মাল্টা চাষের দিকে ঝুকছেন কৃষকরা। প্রথমে জেলায় মাল্টা চাষ শখ থেকে শুরু হলেও এখন তা বাণিজ্যিক চাষে রূপান্তরিত হয়েছে। মাল্টার এ বাণিজ্যিক চাষ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাল্টা চাষে উৎপাদন খরচ কম ও রোগবালাই কম হওয়ায় আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা।
লালমনিরহাট জেলা সদর, আদিতমারী ও পাটগ্রাম উপজেলায় গড়ে উঠেছে ছোট-বড় প্রায় অর্ধশতাধিক মাল্টা বাগান। এখানকার মাল্টা ক্ষেতে সুস্বাদু হওয়ায় এর চাহিদাও বেশি। সরাসরি বাগান থেকেই কিনে নিয়ে যান ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ করা হচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন কৃষক। আর এ মাল্টা বাগান নতুন করে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জানান, জেলার মাটি ও আবহাওয়া উপযোগী হওয়ায় জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মাল্টা চাষ। চাষিদের আগ্রহী করে তুলতে মরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করা হচ্ছে।
জেলার পাটগ্রাম উপজেলার ধবলসুতি এলাকায় আহসানুল হক বিপুল নামে এক যুবক ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রায় ৮ একর জমিতে লাগিয়েছেন ১৩০০ মাল্টা গাছ। এটিই জেলার সর্ববৃহৎ মাল্টা বাগান।
এদিকে সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের হাঁড়িভাঙ্গা এলাকায় একরামুল নামে আরেক যুবক ৬ একর জমি লিজ নিয়ে বিশাল আকারের মাল্টা চাষ করছেন। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে ছোট-বড় প্রায় অর্ধশতাধিক মাল্টা বাগান।
এলাকায় আহসানুল হক বিপুল জানান, শখ করে মাল্টা বাগান করলেও এখন এটি আমাদের অঞ্চলে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে। অনেকে মাল্টা বাগান করছেন।