
করোনাকালে চাকরি হারিয়ে বিদেশ থেকে ফিরে আসা কর্মীদের জন্য ৭০০ কোটি টাকার ঋণ প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। একটি নীতিমালা তৈরি করে ইতোমধ্যে ঋণ বিতরণও শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ মার্চ) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
এছাড়া সরকার বিদেশফেরত কর্মীদের আবার বিভিন্ন দেশে পাঠানোর চেষ্টা করছে বলে জানান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।
সংসদ ভবনের পশ্চিম ব্লকের দ্বিতীয় লেভেলের কেবিনেট কমিটি কক্ষে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ১২তম সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জানা গেছে, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বিদেশফেরত কর্মীদের এবং প্রবাসে করোনায় মৃত কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে বিনিয়োগ ঋণ (বিশেষ পুনর্বাসন ঋণ) প্রদানের জন্য ওয়েস আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের তহবিল থেকে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বিদেশফেরত কর্মীদের অর্থনৈতিক পুনর্বাসনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ৫০০ কোটি টাকাসহ মোট ৭০০ কোটি টাকার ঋণ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। ঋণ সংক্রান্ত একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। নীতিমালার আলোকে এ পর্যন্ত চার হাজার ৩১২ জনকে ৯০ কোটি ২৫ লাখ টাকা ঋণ দেয়া হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, সরকারি খাত থেকে অভিবাসন ঋণ, পুনর্বাসন ঋণ ও বঙ্গবন্ধু অভিবাসন বৃহৎ পরিবার ঋণ খাতে দুই হাজার ৭৬০ জনকে ৫৬ কোটি ১৯ লাখ টাকা এবং ওয়েস আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের তহবিল থেকে এক হাজার ৫৫২ জনকে ৩৪ কোটি ছয় লাখ টাকা ঋণ দেয়া হয়েছে। এছাড়া বিদেশফেরত কর্মীদের জন্য বিশ্বেব্যাংকের অর্থায়নে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডে একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এটি দ্রুত বাস্তবায়িত হবে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে নিবিড়ভাবে আন্তর্জাতিক শ্রমবাজার পর্যবেক্ষণ এবং নতুন শ্রমবাজার উন্মোচনের চেষ্টা করা হচ্ছে।’
তিনি জানান, বিদেশফেরত কর্মীদের আর্থসামাজিক পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তাদের যথাযথ প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ কর্মী হিসেবে পুনরায় বিদেশে পাঠানোর উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া ফিরে আসা কর্মীদের কাজের পূর্ব অভিজ্ঞতাকে সনদায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আনিসুল ইসলাম মাহমুদ সভাপতিত্বে ওই সভায় আরো বক্তব্য রাখেন কমিটির সদস্য অধ্যাপক মো. আলী আশরাফ, মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, বেগম আয়েশা ফেরদাউস, সাদেক খান, মো ইকবাল হোসেন এবং মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন।