
শেষ মুহূর্তের পরিচর্যায় ব্যস্ততা বেড়েছে পিরোজপুরের ৭ উপজেলার আলু চাষিদের। চলতি মৌসুমে ব্যাপক হারে আলুর চাষ করেছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা। তবে কৃষি অধিদপ্তর বলছে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর আলু উৎপাদনে এ অঞ্চলের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। আর কৃষকদের মুখেও লাভের আশার কথাই শোনা যাচ্ছে।
গত মৌসুমে আলুর ফলন বিপর্যয় ও দাম কম পেয়ে কিছুটা ক্ষতির মুখে পড়েন চাষিরা। পূর্বের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এ বছরও বিপুল পরিমাণ জমিতে আলু চাষ করেছেন তারা। তবে জেলার নাজিরপুর উপজেলাসহ বিভিন্ন স্থানে বিনা চাষে আলুর ফলন হয়েছে চোখে পড়ার মতো। পিরোজপুরের বেশ কয়েকটি এলাকার মাঠ জুড়ে দেখা যায় আলুর ক্ষেত। ক্ষেত থেকে আলু উত্তোলনের সময় এবার কাঙ্ক্ষিত দাম পাবেন বলে মনে করেন আলু চাষিরা।
চাষিরা জানান, এ বছর ক্ষেতের লক্ষণ দেখে ভালো মনে হচ্ছে, আর কিছুদিন পর এসব জমি থেকে আলু তোলা হবে। ইতিমধ্যে কিছু জমির আলু বাজারে তোলা হয়েছে। কেজিপ্রতি ২০ থেকে ২৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এখন বাজারে আলুর দাম ভালো থাকলেও সামনে আলু তোলার উপযুক্ত সময়ে দাম কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা যদি আরও ভালো হতো, তাহলে আমরা এ ফসলটি শহরে নিয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে পারতাম।
আলু চাষিদের বিভিন্ন পরামর্শ ও সারসহ কৃষি উপকরণ দিয়ে সহযোগিতার কথা জানান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু হেনা মোহাম্মদ জাফর।
তিনি আরো বলেন, এ বছর পিরোজপুরে আলুর বাম্পার ফলন হবে। চলতি মৌসুমে এ জেলায় ১ হাজার ৫২ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আলু চাষ হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৮ হেক্টর জমিতে। অন্যান্য বছরে ক্ষেতে ভাইরাসজনিত রোগের প্রকোপ দেখা দিলেও এ বছর তেমন কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি কৃষককে। যে কারণে এ বছর আলুর ফলন নিয়ে কৃষকরা অনেক বেশি আশাবাদী।