অলঙ্কার ব্যবসায়ীদের নতুন সুবিধা দেবে না সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২১, ২৩:৩৩

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেছেন, অলঙ্কার ব্যবসায়ীদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে যে সুবিধা দেয়া হয়েছে, ব্যবসায়ীরা তার সঠিক ব্যবহার করতে পারছেন না। এজন্য ২০২১-২২ অর্থবছরে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন কোনো সুবিধা থাকছে না।
রবিবার (২৮ মার্চ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনা শেষে অলঙ্কার ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সভাপতির বক্তব্যে এনবিআর চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ জুয়েলারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আনোয়ার হোসেন দেশে তৈরি অলঙ্কার রফতানিতে মূল্য সংযোজনের (ভ্যাট) ওপর ৫০ শতাংশ ভর্তুকি এবং অমসৃণ হীরা আমদানির ওপরে শূন্য শতাংশ শুল্ক ধার্য করার প্রস্তাব করেন। এই প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘গতবার যে অভ্যন্তরীণ মার্কেটের (বাজার) জন্য এত সুবিধা দেয়া হলো- কোনো রেজাল্ট নাই। আরো সহায়তা দেবো? কিছু হবে না। বাসায় বসে থাকবেন।’
তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজার ধরার জন্য আপনাদের যদি ইচ্ছা থাকে, তাহলে যে পরিমাণ সহায়তা দেয়া আছে তা দিয়েই কিছু করে দেখান। তারপর আমরা আরো বেশি সুবিধা দেবো। আপনি কোথাও যাইতেই (পর্যায়ে) পারেন না।’
রহমাতুল মুনিম বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ বাজারে এত সুবিধা দিলাম, আমদানির জন্য। কয়টা আমদানি হয়েছে? স্থানীয় বাজারে লেনদেন কি হচ্ছে? সেখানে সহায়তা দিয়েও স্বচ্ছতা আসেনি। আপনি এক কদম আগান, আমি দুই কদম আগাবো।’
আনোয়ার হোসেন তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘বাংলাদেশের গহনার ডিজাইনের সঙ্গে ভারতের গহনার ডিজাইনের হুবহু সাদৃশ্য আছে। কিন্তু গহনার কারুকার্য ভারতের তুলনায় অনেক সুন্দর ও ওজনে হালকা হওয়া সত্ত্বেও ভারতীয় স্বর্ণালঙ্কার রফতানিকারকেরা অনেক বছর ধরে বিশ্ব বাজারে এগিয়ে আছে। এমতাবস্থায় আমাদের অলঙ্কার বিশ্ব বাজারে পরিচিত করে তুলতে প্রাথমিকভাবে কমপক্ষে তিন বছরের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে মূল্য সংযোজনের ওপর ৫০ শতাংশ ভর্তুকি দেয়া হলে সফলতা আসবে।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে দেশে ডায়মন্ড কাটিং ও পলিশিং ইন্ডাস্ট্রিজ স্থাপিত হয়েছে এবং আরো বেশ কয়েকটি ডায়মন্ড কাটিং ও পলিশিং ইন্ডাস্ট্রি স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে। যা বাংলাদেশকে রফতানি বাণিজ্যে বিশ্বে এক সুউচ্চ আসনে প্রতিষ্ঠিত করবে। এমতাবস্থায় অমসৃণ হীরা আমদানির ওপর শূন্য শতাংশ শুল্ক ধার্য করলে রফতানি এবং আভ্যন্তরীণ বাজারে বড় কর্মসংস্থান তৈরি হবে।’