প্রথমবারের মতো ভোক্তা পর্যায়ে লিকুইফাইড পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
ভোক্তা পর্যায়ে সরকারি এলপিজি গ্যাসের প্রতি ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম হবে ৫৯১ টাকা। আর বেসরকারি সমান আয়তনের সিলিন্ডারের দাম হবে ৯৭৫ টাকা।
গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজির দাম প্রতি লিটার ৪৭ টাকা ৯২ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সমন্বয় করে প্রতিমাসেই এই দাম পরিবর্তিত হতে পারে।
আজ সোমবার (১২ এপ্রিল) থেকে এই আদেশ কার্যকর হবে। আজ অনলাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাম নির্ধারণের ঘোষণা দেয় বিইআরসি।
কমিশনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল জলিল বলেন, বেসরকারি এলপিজি মজুদ ও বোতলজাতকরণ কোম্পানিগুলোর জন্য ভোক্তা পর্যায়ে মূসক ছাড়া প্রতিকেজি ৭৬ টাকা ১২ পয়সা, মূসকসহ ৮১ টাকা ৩০ পয়সা পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। সেই হিসাবে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি ১২ কেজির বোতলের মূল্য হবে মূসকসহ ৯৭৫ টাকা।
এতোদিন ধরে একেক স্থানে এলপিজি গ্যাসে দাম একেক রকম নেয়া হতো। চাহিদা সংকটের সময় বাড়তি দাম আদায়ের অভিযোগও পাওয়া যেতো। এমন প্রেক্ষাপটে ১৪ জানুয়ারি এলপি গ্যাসের দাম নির্ধারণের জন্য বিক্রয়কারী কোম্পানিগুলোর দাম নিয়ে গণশুনানি করে বিইআরসি।
চেয়ারম্যান বলেন, সারাদেশের বিক্রেতাদের এই আদেশ অনুসরণ করতে হবে। কেউ সেটা লঙ্ঘন করলে কোনো ভোক্তা যদি অভিযোগ করেন, তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেবো।
তিনি বলেন, গণশুনানি শেষে সবকিছু বিচার-বিবেচনা ও দাখিল করা তথ্য যাচাই-বাছাই করে একাধিক সভার মাধ্যমে কমিশন দাম চূড়ান্ত করেছে। এই দাম আজ থেকে কার্যকর হবে। পরবর্তী আদেশ না হওয়া পর্যন্ত তা বহাল থাকবে।
তবে সিলিন্ডারের মান নিশ্চিত করার বিষয়ে কমিশন কি করবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সিলিন্ডারের মানের বিষয়ে আরো কিছু সংস্থার দায়িত্ব রয়েছে। তারপরেও নিম্নমানের হয়ে থাকলে সেসব সংশ্লিষ্ট দফতর ব্যবস্থা নেবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, গণশুনানির ৯০ দিনের মধ্যে আদেশ দেয়ার নিয়ম। সেই হিসাবে ১৪ এপ্রিল সেই সময় শেষ হচ্ছে। তার আগেই কমিশন থেকে দাম নির্ধারণের এই ঘোষণা এলো।
সাধারণত সৌদি কন্ট্রাক্ট প্রাইস (সিপি) অনুযায়ী দেশে এলপিজি গ্যাসের দাম নির্ধারিত হয়। সেইসাথে এলসি মার্জিন, জাহাজ ভাড়া, পরিবহন ব্যয়, ডিলারের লভ্যাংশ, উদ্যোক্তার মুনাফা বিবেচনায় নিয়ে বাজার দর নির্ধারণ করা হয়।