
পেঁয়াজ
গত এক সপ্তাহের কম সময়ের ব্যবধানে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে কেজি প্রতি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২০ টাকা। গত বৃহস্পতিবার কাওরান বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকায়। আর বুধবার (২ জুন) সেই পেঁয়াজ ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
পাইকারি ব্যবসায়ী ও আড়তদারেরা বলছেন, এই সময়ে দেশি পেঁয়াজের পাশাপাশি ভারত থেকেও পেঁয়াজ আসত। কিন্তু কয়েক মাস ধরেই দেশটি থেকে পেঁয়াজ আসছে না। আবার পাবনা, রাজবাড়ী, কুষ্টিয়া, মাগুরা, ফরিদপুরসহ যেসব জেলায় পেঁয়াজের উৎপাদন বেশি হয়, সেসব এলাকার হাটে এখন বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে, যা বাজারে প্রভাব ফেলছে।
বাজার করতে আসা রবিউল ইসলাম বলেন, পেঁয়াজের কোনো সংকট নেই। কয়েক দিন আগে মৌসুম শেষ হয়েছে। এখনি দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। তারপর কৃত্রিম সংকট তৈরি করে পেঁয়াজের দাম বাড়াচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। সরকারের বাজার মনিটরিং না থাকায় সুবিধা নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
শ্যামবাজার পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মাজেদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সরকার আমদানির সুযোগ বন্ধ করে রেখেছে। আমদানির অনুমোদন দেয়ার কথা শোনা যাচ্ছে। দিলে কয়েক দিনের মধ্যে দাম স্বাভাবিক হবে। আর যদি না দেয়, তাহলে দাম আরও বাড়বে।
এদিকে গতকাল কারওয়ান বাজারের আড়তে এক পাল্লা (পাঁচ কেজি) পেঁয়াজ ২৬০ থেকে ২৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজির দাম পড়েছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকা। আর খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে।
মসলাজাতীয় পণ্যের বড় পাইকারি বাজার শ্যামবাজারের একাধিক পেঁয়াজ ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, দেশি পেঁয়াজ বাজারে আসার পর থেকেই সরকার ব্যবসায়ীদের পেঁয়াজ আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় আমদানি অনুমোদন (আইপি) দেয়া বন্ধ রেখেছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের অনেকেই মনে করছেন, ভারতের সঙ্গে স্থলসীমান্ত দিয়ে চলাচল বন্ধের মেয়াদ ১৪ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর কারণে আমদানি-রপ্তানিসহ অন্যান্য বাণিজ্যিক কার্যক্রমও বন্ধ থাকবে। এই ধারণা থেকেও অনেক ব্যবসায়ী হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।