ব্র্যাককে ১ হাজার ৩৫০ কোটি টাকার বন্ড ইস্যুর অনুমোদন

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৮ আগস্ট ২০২১, ০৮:৪৩

ব্র্যাককে জিরো-কুপন বন্ড ইস্যু করার অনুমোদন দিয়েছে এমআরএ। ছবি : সংগৃহীত
দেশের বৃহত্তম ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ব্র্যাককে জিরো-কুপন বন্ড ইস্যু করার অনুমোদন দিয়েছে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ)। এর ফলে ব্র্যাক প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে এক হাজার ৩৫০ কোটি টাকার জিরো-কুপন বন্ড ইস্যু করতে পারবে।
বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ঋণের ইতিহাসে একটি বেসরকারি সংস্থার দ্বারা জিরো কুপন বন্ড ইস্যু করার নজির এটাই প্রথম।
গত বৃহস্পতিবার এমআরএ’র নির্বাহী ভাইস চেয়ারম্যান মো. ফসিউল্লাহ এক অনুষ্ঠানে ব্র্যাকের চিফ ফাইনান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) তুষার ভৌমিকের কাছে এই অনুমোদনপত্র হস্তান্তর করেন।
এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ব্র্যাককে ১ হাজার ৩৫০ কোটি টাকার জিরো কুপন বন্ড ইস্যু করার অনুমোদন প্রদান করে।
ব্র্যাকের এই বন্ডের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- এটি আনসিকিউরড, নন-কনভার্টিবল ও ফুললি রিডিমেবল। এর মেয়াদ হবে দেড় থেকে পাঁচ বছর। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, করপোরেট ও উচ্চ সম্পদশালী ব্যক্তিরা ১ কোটি টাকার একাধিক গুণিতক দিয়ে এই বন্ড কিনতে পারবেন। এই ইস্যুটির লিড অ্যারেঞ্জার হিসেবে আরএসএ অ্যাডভাইজরি লিমিটেড ও ট্রাস্টি হিসেবে এমটিবি ক্যাপিটাল লিমিটেড কাজ করছে।
সহযোগিতার প্রদানের জন্য সকল নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে ধন্যবাদ জানিয়ে সিএফও তুষার ভৌমিক বলেন, ‘এতদিন গ্রাহকের সঞ্চয় ও ব্যাংকের ঋণ ছিল ব্র্যাকের তহবিলের প্রধান উৎস। এখন বন্ড ইস্যু ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের তহবিলের বিকল্প উৎস হিসেবে যোগ হলো। এটি ক্ষুদ্র ঋণ খাতের জন্য একটি বিরাট স্বীকৃতি।’
তিনি আশা প্রকাশ করেন, বন্ডগুলোর মাধ্যমে ব্র্যাকের ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচিতে বিনিয়োগের জন্য নন-লেন্ডার প্রতিষ্ঠানগুলোর পথ খুলবে।
বন্ডগুলো সাশ্রয়ী আর্থিক সমাধান খোঁজা মানুষদের, বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার উন্নতিতে কার্যকরভাবে সাহায্য করবে বলে ব্র্যাক আশাবাদী।
১৯৭২ সালে ব্র্যাকের যাত্রা শুরু হয় বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব অঞ্চল শাল্লায়। স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে দারিদ্র্যচক্র ভেঙে স্বাবলম্বী করতে আর্থিক অন্তর্ভূক্তি জরুরি এই উপলব্ধি থেকে ব্র্যাক প্রথম ১৯৭৪ সালে শাল্লার জেলেদের ঋণ দেয়। বর্তমানে ব্র্যাকের মাইক্রোফাইনান্স কর্মসূচির আওতায় সেবা পাচ্ছেন ৭৪ লাখ মানুষ। -বাসস