Logo
×

Follow Us

অর্থনীতি

ইউনিয়ন ব্যাংকের ভল্টে গরমিল, ৩ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৬:০৮

ইউনিয়ন ব্যাংকের ভল্টে গরমিল, ৩ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার

ইউনিয়ন ব্যাংকের গুলশান শাখা

ইউনিয়ন ব্যাংকের গুলশান শাখায় ভল্টের ১৯ কোটি টাকার গরমিলের ঘটনায় ওই শাখার তিন কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করেছে ব্যাংকটি। পাশাপাশি এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিন থেকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া এই ঘটনায় তাদের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বেসরকারি খাতের  ইউনিয়ন ব্যাংকের গুলশান শাখার ভল্ট থেকে ‘উধাও’ হওয়া ১৯ কোটি টাকা এক ভিভিআইপি গ্রাহককে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্যাংক‌টি।

বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ব্যাংক‌টির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএম‌ডি) হাসান ইকবাল।

তি‌নি জানান, ব্যাংকিং আওয়ারের পর একজন ভিভিআইপি গ্রাহককে ওই টাকা দেয়া হয়েছিল। ব্যাংকিং রুলস ভায়োলেট হলেও এমন ঘটনা নতুন নয়। গ্রাহক-ব্যাংক সম্পর্কের খাতিরে এমন লেনদেন হয়। এঘটনায় ইউনিয়ন ব্যাংকের গুলশান শাখার তিনজনকে প্রত্যাহার ও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শক দলের উপস্থিতিতেই ১৯ কোটি টাকার হিসাব সমন্বয়  করা হয়।

এ বিষ‌য়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, ইউনিয়ন ব্যাংকের কাছে আমরা ব্যাখ্যা জানাতে চি‌ঠি দিয়েছি। যেহেতু তাদের ওই শাখার সান্ধ্যকালীন ব্যাংকিং নেই তাই ব্যাংকিং আওয়ার এর পর লেনদেন করতে পারে না। তবে এখনো তারা উত্তর দেয়নি। তাদের জবাব পেলে ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নেব।

এর আগে ইউনিয়ন ব্যাংকের গুলশান শাখার ভল্ট থেকে ১৯ কোটি টাকা গরমিল পায় বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি পরিদর্শক দল। গত সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) ব্যাংকটির শাখায় গিয়ে এমন তথ্য উদ্ঘাটন করে। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এখন ব্যাংকটির সব শাখার ভল্ট পরিদর্শন করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

জানা গেছে, ওইদিন বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি পরিদর্শক দল ইউনিয়ন ব্যাংকের গুলশান শাখা পরিদর্শনে যায়। সকাল ১০টার আগেই তারা শাখায় গিয়ে উপস্থিত হন। প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী শুরুতেই ওই দল ভল্ট পরিদর্শন করে। কাগজে-কলমে শাখার ভল্টে ৩১ কোটি টাকা দেখানো হলেও সেখানে ১২ কোটি টাকা পায় পরিদর্শক দল। তাৎক্ষণিক বাকি টাকার বিষয়ে ব্যাংকের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা কোনো জবাব দিতে পারেননি। উল্টো বিষয়টি ধামাচাপা দিতে বিভিন্ন তৎপরতা শুরু করে শাখা কর্তৃপক্ষ। একপর্যায়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি পক্ষও এ ঘটনায় কোনো ব্যবস্থা না নেয়ার পক্ষে অবস্থান নেয়।

প্রতিদিন লেনদেনের শেষ ও শুরুতে ভল্টের টাকা মিলিয়ে রাখার দায়িত্ব শাখার ব্যবস্থাপক, সেকেন্ড অফিসার এবং ক্যাশ ইনচার্জের। ভল্টে টাকার হিসাবে কোনো গরমিল হলে তা মিলিয়ে নেয়ার দায়িত্ব এসব কর্মকর্তার। অনেক সময় হিসাবের ভুলে সামান্য টাকার গরমিল হতে পারে। তবে বড় অঙ্কের টাকার গরমিল হলে তা ফৌজদারি অপরাধ। এক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। উল্টো মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত পর্যন্ত পুরো বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার তৎপরতা চলে। শুধু তাই নয়, পরিদর্শনে গিয়ে যারা এ তথ্য উদ্ঘাটন করেছেন, তাদের চাপে রাখা হয়। তবে অদৃশ্য কারণে এক্ষেত্রে কাউকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়নি। এমনকি থানায় কোনো সাধারণ ডায়েরিও করেনি ব্যাংক।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫