
উদ্যোক্তা লামিয়া আবেদীন সালসাবিল
চাকরি না করেও নারীদের স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব তা প্রমাণ করেছেন উদ্যোক্তা লামিয়া আবেদীন সালসাবিল। হাসিখুশি ও দৃঢ় মানসিকতার পাশাপাশি নিয়মানুবর্তিতা এসব গুণগুলো নিয়ে পথচলা উদ্যোক্তা লামিয়া আবেদীন সালসাবিলের। দিনের পর দিন মিলছে সুফলও। অনলাইনে সুন্দর ও আকর্ষণীয় পণ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন ‘শাড়ি’স বাই লাভ’ সামাজিক যোগাযোগ পেজের মাধ্যমে। বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করে এখন বেশ ভালো আয় হচ্ছে তার।
সালসাবিল গল্প করতে করতে বলেন, ‘আমি বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে। জন্ম বিক্রমপুরের লৌহজংয়ে। কিন্তু ঢাকায় বড় হয়েছি। মিরপুরে বনফুল আদিবাসী গ্রীনহার্ট স্কুল এন্ড কলেজে পড়ালেখার জীবন সম্পন্ন করেছি। চাকরি করিনি আর নিজেরও কর্ম জীবনে প্রবেশ করার ইচ্ছে ছিলো না। ছোট থেকেই নিজের শখের প্রাধান্যটা আমার কাছে অনেক বেশি ছিলো, শখ করেও নিজেকে সারাক্ষণ সাজানো থেকে শুরু করে অনেক কাজই করতাম। আমার ভালোলাগা থেকেই এই কাজগুলো করি, এই কাজগুলো করতে করতে এখন একজন উদ্যোক্তার হয়ে গেছি।’
উদ্যোক্তা শুরুতে নিজের জন্যই কাজ করতেন। টাই-ডাইয়ের কাজ করতে বেশি ভালো লাগত তার। যেহেতু বুঝ হওয়ার পর থেকে গহনা পড়তে ভালবাসতেন, তাই এসব কাজই এখন পেশা হয়ে গেছে। প্রথমে মালা, শো-পিস তৈরি করেছিলেন। কিন্তু যখন দেখলেন কাজগুলো আশেপাশের সবাই খুব পছন্দ করছে এবং সবাই কাজ উৎসাহ দিয়েছিলো এ কাজটি করার জন্য। তখন থেকে আস্তে আস্তে স্বপ্ন আরো বড় হতে থাকলো উদ্যোক্তার। লামিয়া আবেদীন সালসাবিল নিজেই শাড়ি, থ্রি-পিস, টাই-ডাই স্ক্রিনপ্রিন্ট ব্লক করেন। টাই-ডাই শাড়ি, বেড সিট, মাথার ব্যান্ড, গহনা, নামাজের জন্য হিজাব নিজে হাতে তৈরি করেন।
পুঁজি ও ব্যবসা বিষয়ে উদ্যোক্তা সালসাবিল সাম্প্রতিক দেশকালকে বলেন, শূন্য হাতেই ব্যবসা শুরু করেছিলাম। সেখান থেকে আস্তে আস্তে শুরু হয়েছিল এ কাজ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পেজ খুলে নাম দেন ‘sareez by love’ । আপাতত দেশের বাইরে শুধু লন্ডনে পণ্য দিয়েছি। নিজেই নিজের পণ্য বিক্রি করছি। কর্মী তেমন কেউ নেই। ভালোলাগা থেকেই উদ্যোক্তা হওয়ার চেষ্টা থেকে এ পর্যন্ত এসেছি।
পরিকল্পনা ও স্বপ্ন নিয়ে বলেন, একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন আছে। নিজের পরিচয়ে লামিয়া আবিদীন সালসাবিলকে সবাই চিনবে এই স্বপ্নটা আগে থেকেই ছিলো এখনো আছে। ভালো ভালো কাজ মানুষকে উপহার দিয়ে সবার মন জয় করতে পারবো বরে আশা করছি। সফলতার চূড়ান্ত পর্যায় তরুণ সমাজে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবো।