
প্লাস্টিক পণ্য। ফাইল ছবি
অভ্যন্তরীণ বিপুল চাহিদা মিটিয়ে বর্তমানে দেশের প্লাস্টিক পণ্যের রফতানি বাজার দ্রুত সম্প্রসারণ হচ্ছে। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ৫ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) আন্তর্জাতিক বাজারে প্লাস্টিক পণ্য বিক্রয় থেকে রফতানি আয় হয়েছে ৫ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার, যা বিগত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি।
গত ২০২০-২১ অর্থবছরে প্লাস্টিক পণ্য রফতানির পরিমাণ ছিল ৪ কোটি ৩৯ লাখ ডলার। চলতি অর্থবছর প্লাস্টিক পণ্য থেকে ১৩ কোটি ডলারের রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
বাংলাদেশ প্লাস্টিক পণ্য প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিপিজিএমইএ) সভাপতি শামীম আহমেদ বলেন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ফ্রান্স, পোল্যান্ড, স্পেন, কানাডাসহ বিশ্বের ২৩ দেশে সরাসরি যাচ্ছে বাংলাদেশের প্লাস্টিক পণ্য। গৃহসজ্জা থেকে অটোমোবাইল, চিকিৎসার সরঞ্জাম কিংবা রফতানি শিল্পের আনুষঙ্গিক সব পণ্য প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি হচ্ছে। নজর কাড়ছে প্রযুক্তির সমন্বয়ে তৈরি প্লাস্টিকের বাহারি খেলনাও।
তিনি বলেন, চীনের উপর নির্ভরতা কমিয়ে অনেক দেশ এখন বাংলাদেশের প্লাস্টিক পণ্যের প্রতি ঝুঁকছে। যে কারণে বৈশ্বিক বাজারে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের পণ্যের রফতানি বাড়ছে।
বিপিজিএমইএ সভাপতি বলেন, করোনাভাইরাস অতিমারির শুরুর দিকে অন্যন্যা শিল্প কারখানার মতো প্লাস্টিক খাতেও নাজুক অবস্থা তৈরি হয়। কিন্তু সরকারের সময়োপযোগি পদক্ষেপ ও প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নের কারণে অন্যান্য শিল্পের পাশাপাশি প্লাস্টিক খাতও ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বৈশ্বিক পর্যায়ে ব্যবসা বাণিজ্য স্বাভাবিক হতে থাকায় বাংলাদেশের রফতানিতে তার সুফল পাওয়া যাচ্ছে।
তিনি মনে করেন আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের দাম বেড়ে না গেলে রফতানি আয় আরও বেশি হতো।
শামীম আহমেদ জানান, প্রত্যক্ষ প্লাস্টিক পণ্য রফতানির পাশাপাশি বছরে গার্মেন্টস এক্সেসরিজ হিসেবে ৭০ কোটি ডলারের প্লাস্টিক পণ্য রফতানি হচ্ছে। বর্তমানে প্লাস্টিক মোড়ক ও গার্মেন্টস এক্সেসরিজ ব্যাতিরেকে কোনও পণ্যই বিদেশে রফতানি করা অসম্ভব।
বিপিজিএমইএর তথ্যমতে, বর্তমানে দেশে ছোট-বড় মিলে ৫ হাজার কারখানায় প্রায় ১৫ ক্যাটাগরিতে পণ্য উৎপাদন হয়। এর মধ্যে পোশাক খাতের জন্য পলিব্যাগ, হ্যাঙ্গার, প্লাস্টিক ক্লিপ, বোতাম, খেলনা সামগ্রীর মধ্যে পুতুল, বল, গৃহে ব্যবহারের জন্য চেয়ার, টেবিল, ডাইনিং টেবিল, বিভিন্ন ধরনের রেক, ঝুড়ি, বাথটাব, জগ, মগ, অফিসে ব্যবহারের জন্য পেপারওয়েট, স্কেল, টেবিল, বলপেন, ফাইল কভার অন্যতম।
কৃষি খাতের জন্য পাইপ, সাইকেলের যন্ত্রাংশের মধ্যে বাম্পার, হাতলের কভার, ব্যাক লাইট, স্পোক লাইট, মাছ ও ডিম রাখার ঝুড়ি, ভিডিও ও অডিও ক্যাসেট, কম্পিউটারের উপকরণসহ বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিক সামগ্রী তৈরি হচ্ছে। -বাসস