
রাজধানী ঢাকাতে বাড়তে শুরু করেছে শীতের প্রকোপ। সময়ের সঙ্গে তাপমাত্রা কমে বাড়ছে শীত। ফলে মার্কেটগুলোতে শীতের পোশাক কেনাকাটায় বেড়েছে ভিড়।
শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর বেশ কয়েকটি মার্কেট ও এলাকা ঘুরে এমনটি দেখা যায়। এর মধ্যে নিউমার্কেট এলাকায় ছিল সবচেয়ে ভিড়। ওই এলাকার প্রধান প্রধান কয়েকটি মার্কেট ও অলিগলিতে পা ফেলার জো নেই। যেন কেনাকাটায় গরম হয়ে উঠেছে বাজার। শীতে নিজেকে একটু উষ্ণ রাখতে ব্যস্ত হয়ে ছুটছে নগরবাসী।
একজন ক্রেতা বলেন, সব সময় ছুটি মেলে না এভাবে। কদিন ছুটি আছে, এরমধ্যে প্রয়োজনীয় কেনাকাটা সেরে নিতে হবে।
আরেক ক্রেতা এজাজউদ্দিন বলেন, সামনে অফিসের পিকনিক। এরপর আবার বাচ্চারা ছুটিতে গ্রামে যাবে। সেখানে অনেক শীত। এজন্য কেনাকাটা করছি।
যদিও মৌসুমের শুরুতে দাম বেশি নেওয়ার অভিযোগ করেছেন এ ক্রেতা। তিনি বলেন, দাম বেশি হাঁকছে বিক্রেতারা। তাই ২টার জায়গায় একটা কিনতে হচ্ছে। বিক্রেতারাও বেশি ক্রেতা পেয়ে সুযোগ নিচ্ছে।
তবে সেখানের এক বিক্রেতা ইয়াকুব মিয়া বলেন, শুধু তিন মাস শীতের পোশাক কেনাবেচা হয়। মৌসুমি ব্যবসা। গত দুই বছর করোনার কারণে কেনাবেচা হয়নি। বসে খেয়ে পুঁজি শেষ। এজন্য হাঁকতে হচ্ছে বেশি দাম। ফলে সবাইকে খুশি করতে পারছি না।
নিউমার্কেটের ভেতর-বাইরে, ফুটওভার ব্রিজ, গাউছিয়া, চাঁদনীচক, এলিফ্যান্ট রোড এসময় ছিল লোকে লোকারণ্য। সেখানে মোজা, সোয়েটার, বাচ্চাদের শীতের পোশাক, চাদরসহ নানা শীতের পোশাক একদামে বিক্রি হচ্ছে।
ফুটপাতে সোয়েটার বিক্রেতা মঞ্জু মিয়া বলেন, মাশাআল্লাহ বিক্রি ভালো। গত দুই বছর বিক্রিই করতে পারিনি। সেই হিসেবে শুকরিয়া।
এদিকে এ বছর অর্থের অভাবে পোশাকে নতুনত্ব না আনতে পেরে অনেকের বিক্রি খারাপ বলেও জানা গেছে। এলিফ্যান্ট রোডের রওজা ফ্যাশনের মালিক এম এম হাসান বলেন, করোনার সময় বসে বসে কর্মচারীর বেতন ও দোকান ভাড়া দিয়ে পুঁজি শেষ। এখন নতুন মাল আনতে পারিনি। কাস্টমার আসছে, কিন্তু কালেকশন না থাকায় ফিরে যাচ্ছে।
হুমায়ূন নামের এক ফ্যাশন হাউসের কর্মচারী বলেন, কেনাবেচা প্রায় নেই। কর্মচারীদের বেতন দিতে মালিকের বাজেট শেষ। ব্যবসা শেষ করে দিলো করোনা।
অন্যদিকে অভিজাত বিপণি বিতানগুলোর মালিকরা বলছেন, এখনও তেমনভাবে শীতের ক্রেতা আসতে শুরু করেনি। তারা বেশ নতুনত্ব চায়, যে কারণে নতুন ধরনের আইটেমের জন্য অপেক্ষা করছে সবাই। গত বছরের কিছু কালেকশন এখন চলছে। বিদেশ থেকে নতুন নতুন পোশাক আসা শুরু হয়েছে মাত্র কয়েকদিন হলো।