
ফাইল ছবি
নতুন বছরের শুনুতেই তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) ও পরিবহনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত এলপিজির (অটোগ্যাস) দাম কমেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম আরও কমায় দেশেও আবার দাম কমানো হলো।
ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজির প্রতিটি সিলিন্ডারের দাম ৫০ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এতে ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম দাঁড়ালো এক হাজার ১৭৮ টাকায়।
আজ সোমবার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে এই দাম কার্যকর হবে।
আজ অনলাইনে বিইআরসি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নতুন এই দাম ঘোষণা করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে কমিশন চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল, সচিব আবু সায়িদ, সদস্য মকবুল ই ইলাহিসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিইআরসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বেসরকারি এলপিজির রিটেইলার পয়েন্টে (ভোক্তা পর্যায়ে) মূসক ব্যতীত মূল্য প্রতি কেজি ৯২ দশমিক ৩ টাকা এবং মূসকসহ মূল্য প্রতি কেজি ৯৮ দশমিক ১৭ টাকায় সমন্বয় করা হয়েছে। সে অনুযায়ী রিটেইলার পয়েন্টে ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজি এলপিজির মূসকসহ মূল্য এক হাজার ১৭৮ টাকায় সমন্বয় করা হয়েছে।
এর আগে ডিসেম্বর মাসের জন্য বেসরকারি পর্যায়ে মূসকসহ প্রতি কেজি এলপিজি ১০৯ টাকা ৪২ পয়সা থেকে কমিয়ে ১০২ টাকা ৩২ পয়সা করা হয়। এতে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৩১৩ টাকা থেকে কমে হয় ১ হাজার ২২৮ টাকা।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাসাবাড়িতে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত (রেটিকুলেটেড) এলপিজির দামও কমানো হয়েছে। প্রতি কেজি ৯৯ টাকা ০৮ পয়সা থেকে থেকে কমিয়ে ৯৪ টাকা ৯৪ পয়সা করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, একইসঙ্গে কমেছে পরিবহনে ব্যবহৃত এলপি গ্যাসের দামও, যা অটোগ্যাস নামে প্রচলিত। জানুয়ারি মাসের জন্য অটোগ্যাসের দাম প্রতি লিটার ৫৪ টাকা ৯৪ পয়সায় আদেশ দেওয়া হয়। যা ডিসেম্বর মাসে ছিল ৫৭ টাকা ২৪ পয়সা। লিটারে কমেছে প্রায় ২ টাকা ৩০ পয়সা।
এতে আরও বলা হয়, সৌদি সিপি অনুসারে জানুয়ারি মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রোপেন ও বিউটেনের দাম যথাক্রমে প্রতি টন ৭৯৫ থেকে কমে ৭৪০ এবং ৭৫০ ডলার থেকে কমে ৭১০ ডলারে নেমেছে। প্রোপেন ও বিউটেনের মিশ্রণ অনুপাত ৩৫:৬৫ বিবেচনায় জানুয়ারি মাসের জন্য এই নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
শুধু ১২ কেজি নয়, সাড়ে ৫ কেজি থেকে শুরু করে ৪৫ কেজি পর্যন্ত সব সিলিন্ডারের দামই কমানো হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।