Logo
×

Follow Us

অর্থনীতি

ফেব্রুয়ারিতে বাড়তে পারে সুতার দাম

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২২, ২০:৪৫

ফেব্রুয়ারিতে বাড়তে পারে সুতার দাম

পোশাক কারখানায় কাজ করছেন শ্রমিকদের একাংশ। ছবি: সংগৃহীত

আসছে ফেব্রুয়ারি-মার্চ নাগাদ সুতার দর আবার বাড়তে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)।

তুলার সরবরাহ চেইন বিঘ্নিত হওয়ার কারণে এই সংকট তৈরি হতে পারে জানিয়ে সংগঠনটি বলছে, সেক্ষেত্রে প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকের উৎপাদন এবং রপ্তানি ব্যাহত হবে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) সংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এই ইঙ্গিত দেন বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন। রাজধানীর পান্থপথে সংগঠনের কার্যালয়ে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

প্রসঙ্গত, প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক উৎপাদনে প্রধান কাঁচামাল সুতা এবং কাপড়ের বড় যোগানদাতা বিটিএমএভুক্ত বস্ত্রকলগুলো। পোশাকের নিট ক্যাটাগরির শতভাগ এবং ওভেনের ৪০ ভাগ সুতা কাপড় এই মিলগুলো সরবরাহ করে থাকে। এতে পোশাক উৎপাদন এবং রপ্তানিতে দর এবং সময় সাশ্রয় হচ্ছে। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় তৈরি পোশাক খাতকে কিছুটা এগিয়ে রাখছে এই সুবিধা।

কেন তুলার দর বাড়তে পারে- সেই ব্যাখ্যায় বিটিএমএ সভাপতি বলেন, সিঙ্গাপুর ও শ্রীলঙ্কার মাদার ভেসেল (বড় জাহাজ) থেকে ফিডার ভেসেলে (ছোট জাহাজ) আমদানি করা তুলা দেশে আনা হয়। গত কয়েক মাস ধরে ফিডার ভেসেলের সংকট চলছে। আবার বন্দরে চলছে কনটেইনার জট। এতে মাদার ভেসেল থেকে নির্ধারিত সময়ে পণ্য খালাস করা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে মাদার ভেসেল ভাড়ায় বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে উদ্যোক্তাদের।

আন্তর্জাতিক অনেক জাহাজ কোম্পানি বাংলাদেশের পণ্য পরিবহনে রাজি হচ্ছে না। সেখানেও বেশি ব্যয় হচ্ছে। আবার কারখানায় তুলা আসতে সাত মাস পর্যন্ত সময় লেগে যায়। অথচ বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পোশাকের এখন বাড়তি রপ্তানি আদেশের ফলে তুলা-সুতার ব্যাপক চাহিদা। আগামী মাস থেকে গ্রীষ্ম মৌসুমের পোশাকের রপ্তানি আদেশ আসতে শুরু করবে। ওই বাড়তি চাহিদার প্রেক্ষিতে সময় মত আমদানি করা তুলা হাতে না পেলে ভারতসহ বিকল্প বাজার থেকে তাৎক্ষণিকভাবে বেশি দামে তুলা আমদানি করতে হবে। এতে সুতার দাম না বাড়িয়ে পারা যাবে না।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫