
এনবিআর
করপোরেট করহার হ্রাস করে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সমপর্যায়ে উন্নীত করার প্রস্তাব করেছে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রাজস্ব ভবন সভাকক্ষে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়োজিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় এমসিসিআই এই প্রস্তাব তুলে ধরে। এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম সভায় সভাপতিত্ব করেন।
এমসিসিআই সভাপতি সাইফুল ইসলাম করপোরেট করহার কমানোর প্রস্তাব করে বলেন,‘বিগত ২ বছরে প্রায় সকল ক্ষেত্রে করপোরেট করহার ৫ শতাংশ পর্যন্ত কমানো হয়েছে। সেজন্য আমরা সরকারের নীতিনির্ধারকদের ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু এখনও দেশে করপোরেট করহার পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় বেশি। আশা করি এই করহার পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সমপর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হবে।’
তিনি বলেন, অননুমোদিত ব্যয় এবং উৎসে কর কর্তন এত বেশি যে, ব্যবসায়ীরা করপোরেট করহার ৫ শতাংশ কমানোর সুবিধা ভোগ করতে পারছে না। বাস্তবে এই করপোরেট করহার পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির ক্ষেত্রে ২২ দশমিক ৫ শতাংশে আর থাকে না, তা ক্ষেত্রবিশিষে ৪০ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত হয়ে যায়। তিনি এ বিষয়টি ভেবে দেখার অনুরোধ করেন।
করপোরেট করহার কমানোর প্রস্তাবের ব্যাপারে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, করপোরেট করহার কমানোর যৌক্তিকতা আছে বলে মনে করি। তবে একবারে সে পর্যায়ে যাওয়া সম্ভব নয়, কারণ তাতে ঝুঁকি রয়ে গেছে। রাজস্ব আয় হঠাৎ করে কমে যাওয়া সম্ভাবনা থেকে যায়।
তিনি বলেন, সরকার যেকোন করনীতি গ্রহণের ক্ষেত্রে শিল্পায়ন ও ব্যবসা-বাণিজ্য সহজীকরণকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিচ্ছে।
আলোচনায় এমসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে সংগঠনের সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার নিহাদ কবীর ও সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর এবং ট্যারিফ এন্ড ট্যাক্সেশন কমিটির চেয়ারম্যান আদিব এইচ খান অংশগ্রহণ করেন।
অন্যদিকে ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফআইসিসিআই) প্রাক-বাজেট আলোচনায় উৎসে করহার সামঞ্জস্যপূর্ন করার প্রস্তাব করে। সংগঠনের ট্যারিফ এন্ড ট্যাক্সেশন কনসালটেন্ট স্নেহাশীষ বড়ুয়া বলেন, মুনাফার উপর উৎসে কর নির্ধারন না করে মোট আয়ের উপর উৎসে কর আরোপ করলে, যৌক্তিক উৎসে কর যেমন নির্ধারণ করা যাবে, তেমনি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মূলধন সংকট হবে না।
এফআইসিসিআই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সংগঠনের সভাপতি ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসের এজাজ বিজয়।