Logo
×

Follow Us

অর্থনীতি

সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা এক বছরের মধ্যে চালু : অর্থমন্ত্রী

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৪:৫০

সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা এক বছরের মধ্যে চালু : অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আগামী ছয় মাস থেকে এক বছরে মধ্যে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে সরকার। প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্যও একই সুযোগ রাখা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়স পর্যন্ত দেশের নাগরিকরা নির্দিষ্ট অংকের চাঁদা দিয়ে ৬০ বছর বয়স হওয়ার পর মাসিক পেনশন তুলতে পারবেন। আর ৮০ বছর বয়স হওয়া পর্যন্ত সুবিধা নিতে পারবেন।

আজ বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ও অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে ভার্চুয়ালি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।

অর্থমন্ত্রী একটি উদাহরণ দিয়ে বলেন, কেউ যদি ১৮ বছর বয়স থেকে মাসে এক হাজার টাকা চাঁদা দেন, তাহলে মাসে পেনশন পাবেন ৬৪ হাজার টাকা। এজন্য একটা ফান্ড হবে এবং সেখানে বছরে যে পরিমাণ চাঁদা জমা হবে, সেই পরিমাণ অর্থ সরকার জমা দেবে।

তিনি বলেন, পেনশন ব্যবস্থা নিয়ে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আরও বিস্তারিত আমি আপনাদের কাছে শেয়ার করবো। পর্যায়ক্রমে আমরা বাস্তবায়নে যাবো। এখানে কিছু সংযোজন বিয়োজন আছে অনেক জায়গায়। কিন্তু আমাদের মৌলিক ধারণাগুলো আজ তুলে ধরছি। ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সব নাগরিক সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। 

তিনি আরও বলেন, বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীরাও এ ব্যবস্থায় অংশ নিতে পারবে। সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিষয়টি আমরা পরে বিবেচনা করবো। জাতীয় পরিচয়পত্রের ওপর ভিত্তি করে দেশের ১৮ থেকে ৫০ বছর পর্যন্ত সব নাগরিক পেনশন হিসাব খুলতে পারবেন। প্রাথমিকভাবে এ পদ্ধতি ঐচ্ছিক থাকবে, পরবর্তীতে বাধ্যতামূলক করা হবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষের আয়ুষ্কাল ৭৩ বছর। ২০৫০ সালে সেটা হবে ৮০ বছর। ২০৭৫ সালে আমাদের প্রাক্কলনে দেখানো হয়েছে আমাদের আয়ুষ্কাল হবে ৮৫ বছর। এতে দেখা যায় আগামী তিন দশকে মানুষ অবসর গ্রহণের পরেও আরও ২০ বছর তার আয়ু থাকবে। সে সময়ে তার আয় থাকবে না, কিন্তু তিনি বেঁচে থাকবেন। তাই তাদের দেখভালের জন্য কারো না কারও দায়িত্ব নিতে হবে। সরকার সে দায়িত্বটা নেবে।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন বাংলাদেশের অনেক অর্জন। সেই অর্জনের সঙ্গে আজ যুক্ত হলো আরও একটি অর্জন। সেটা হলো সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা। এই পেনশন ব্যবস্থা সবার জন্য। পেনশন ব্যবস্থাটি আমাদের সংবিধানের ১৫ অনুচ্ছেদে বলা আছে, বার্ধক্যজনিত কারণে যারা অভাবগ্রস্ত হবে। এই অভাবগ্রস্তদের জন্য সাহায্যের প্রয়োজন হবে। এই সাহায্য লাভের অধিকার রাষ্ট্রের প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক অধিকার। বার্ধক্যজনিত কারণে যেসব অভাব আসতে পারে বা আসে জীবনে, সেসব অভাবগ্রস্ত নাগরিকরা পেনশন পাবেন।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫