রপ্তানির আড়ালে ২২ লাখ টাকা পাচারের চেষ্টা

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২২, ১০:৩১

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস
সংযুক্ত আরব আমিরাতে রপ্তানির সময় চট্টগ্রামে একটি বেসরকারি কনটেইনার ডিপো থেকে একটি চালান আটক করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। ওই চালানে মিথ্যা ঘোষণার মাধ্যমে ২২ লাখ টাকা পাচারের চেষ্টা হয় বলে জানিয়েছে কাস্টমস কর্মকর্তারা।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টম হাউসের কর্মকর্তারা পণ্য চালান আটক করেন এবং শতভাগ কায়িক পরীক্ষা শেষে টাকা পাচারের অপচেষ্টার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার (২২ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার মো. আহসান উল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে পণ্য রপ্তানি করতে গিয়ে ২১ লাখ ৯৭ হাজার ৪৮৬ টাকা পাচারের চেষ্টা করেছে ঢাকার রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ইনফিনিট সার্ভিস সল্যুশন। চট্টগ্রামে একটি বেসরকারি কনটেইনার ডিপো থেকে চালানটি আটক করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
ঢাকার গুলশান অ্যাভিনিউর আরএম স্টোরের ইনফিনিটি সার্ভিস সলিউশান নামের একটি প্রতিষ্ঠানের চালানটি (বিল অব এক্সপোর্ট নম্বর সি-৪৮২৩৯৭) সংযুক্ত আরব আমিরাতে রপ্তানির উদ্দেশ্যে এছাক ব্রাদার্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামের একটি বেসরকারি কনটেইনার ডিপোতে আনা হয়েছিল। এ চালানের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের ডায়নামিক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানটি ২০২০ সালের ১ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত পাঁচটি চালান রপ্তানি করেছে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটি বিল অব এক্সপোর্টের বিপরীতে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে এলসি করেছে।
ডেপুটি কমিশনার বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে পণ্য চালানটি আটক করে শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হয়। রপ্তানিকারক ৩৮ হাজার ৩১১ পিস পণ্যের বিপরীতে ২১ হাজার ৯৭২ দশমিক ৭৫ ডলার (প্রতি পিসের ঘোষিত মূল্য দশমিক ৫৭ ডলার) বা ১৮ লাখ ৯০ হাজার ৭৫০ টাকা প্রাপ্তি হতো। তবে সঠিক ঘোষণা থাকলে ৪০ লাখ ৮৮ হাজার ২৪১ টাকা প্রাপ্তি হতো। অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানটি পণ্য রপ্তানির আড়ালে ২১ লাখ ৯৭ হাজার ৪৮৬ টাকা পাচারের চেষ্টা করে।
তিনি জানান, প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে কাস্টমস আইন-১৯৬৯ এবং প্রচলিত অন্যান্য আইন অনুযায়ী কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান আছে।