Logo
×

Follow Us

অর্থনীতি

বিশ্বে ঘণ্টায় মোবাইল মানির লেনদেন ৫ বিলিয়ন ডলার

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২২, ০৯:১০

 বিশ্বে ঘণ্টায় মোবাইল মানির লেনদেন ৫ বিলিয়ন ডলার

প্রতীকী ছবি

বিশ্বব্যাপী মোবাইল মানি ইন্ডাস্ট্রি ২০২১ সালে ১ ট্রিলিয়ন ডলার রেকর্ড করেছে। প্রতি ঘণ্টায় ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি পর্যায়ে মোবাইল মানি বা মোবাইল আর্থিক লেনদেন হয়। 

জিএসএমএ তার ১০ম বার্ষিক মোবাইল মানি শিল্পের অবস্থা সম্পর্কে প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করেছে। জিএসএমএ পরিচালিত গ্লোবাল এডোপশন সার্ভে অব মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস শীর্ষক বার্ষিক জরিপের ওপর ভিত্তি করে মোবাইল-ভিত্তিক বিশ্ব অর্থনীতির এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। কার্যক্রমটি বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত।

প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ২০২১ সালে মোবাইল মানি ব্যবহার ও গ্রহণ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে, যার ফলে এ বছর ১ ট্রিলিয়ন ডলার বার্ষিক রেকর্ড হয়েছে। দেখা গেছে এ শিল্পে নিবন্ধিত অ্যাকাউন্টের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে, যা ২০২০ সাল থেকে ১৮ শতাংশ বেড়েবিশ্বব্যাপী ১.৩৫ বিলিয়নে পৌঁছেছে। প্রতি ঘণ্টায় ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি লেনদেনের পরিমাণ ৫ বিলিয়নের বেশি হয়েছে।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, এই প্রবৃদ্ধির উল্লেখযোগ্য চালিকাশক্তি ছিল মার্চেন্ট পেমেন্ট, যা এক বছরে প্রায় দ্বিগুণ। প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তি- বিশেষ করে মহিলাদের জন্য মোবাইল মানি কীভাবে অর্থ লেনদেন ও অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তির মূল স্তম্ভ হিসেবে কাজ করছে।

২০২১ সালে মোবাইল মানি ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি লেনদেন এবং নগদ-ইন/নগদ-আউট লেনদেনের ক্ষেত্রে বৈচিত্র্যময় প্রভাব বিস্তার করেছে। এটি বর্তমানে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে (এলএমআইসি) মানুষ ও ব্যবসার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ইকোসিস্টেমে লেনদেনের বৃদ্ধি, বিশেষ করে মার্চেন্ট পেমেন্ট, আন্তর্জাতিক রেমিট্যান্স, বিল পেমেন্ট এবং বাল্ক ডিসবারসমেন্ট ইত্যাদির গুরুত্ব আরো বেড়েছে।

মার্চেন্ট পেমেন্ট প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে, যা প্রতিমাসে প্রায় ৫.৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।

২০২১ সাল মোবাইল মানি বি-টু-বি (বিজনেস টু বিজনেস) পরিষেবায় বৈচিত্র্য শুরুর বছর হিসেবেও দেখা হচ্ছে উল্লেখ করে জিএসএমএ এর হেড অফ মোবাইল ফর ডেভেলপমেন্ট ম্যাক্স কুভেলিয়ার বলেন, প্রথাগত ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি (পরিবার বা বন্ধুর কাছে অর্থ পাঠানো) লেনদেনের বাইরে এ শিল্প এখন ছোটখাটো ব্যবসাগুলোকে আরো দক্ষতার সাথে পরিচালনা করতে এবং গ্রাহককে আরো ভালো পরিষেবা দিতে সক্ষম হচ্ছে।

অপরদিকে মোবাইল মানি নারীদের জন্য আর্থিক ক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্ত হবার একটি চালিকাশক্তি হিসেবে দেখা হচ্ছে। মোবাইল মানি নারীকে তার অর্থের ওপর নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে এবং প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করবার ক্ষমতা দিচ্ছে। জিএসএমএ গ্লোবাল এডপশন সার্ভেতে দেখা যায়, ৪৪ শতাংশ সাড়া প্রদানকারীরা এখন ক্রেডিট, সঞ্চয় বা বীমা পণ্য অফার করে, যা সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য তাদের জীবিকা ও ভবিষ্যৎ বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করে।

তবে মোবাইল মানি সেবাগ্রহণে অতিরিক্ত বাধার মধ্যে রয়েছে মোবাইল মানি সম্পর্কে সচেতনতার অভাব এবং এটি ব্যবহারের প্রাসঙ্গিকতা, জ্ঞান ও দক্ষতার ঘাটতি। এ জন্য নীতিনির্ধারক, বেসরকারি খাত, দাতা ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের কাছ থেকে সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন, বিশেষ করে কোভিড-১৯ মহামারীর শিক্ষাকে কাজে লাগানো প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রতিবেদনে ২০২২ সালে মানবিক সহায়তা প্রয়োজন এমন লোকের সংখ্যা ২৭৪ মিলিয়নে উন্নীত হবার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। অনুদান দেওয়া ও সাহায্য পাওয়ার ক্ষেত্রে ‘মোবাইল মানি’ ক্রমান্বয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা প্রকাশ করা হচ্ছে। তাই মানবিক সহায়তা গ্রহণকারী ও দাতাদের জন্য বিতরণ ব্যবস্থাকে আরো দক্ষ ও স্বচ্ছ করে তোলার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে হবে।

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ২০২০ সালে ১০০টি দেশে ৭০০ বিলিয়ন ডলার নগদ মূল্য সহায়তা (সিভিএ) পাঠিয়েছে। তারা ৪৭টি দেশে ডিজিটাল পেমেন্ট প্রোগ্রাম স্থাপণ করেছে, যার মধ্যে ১৫টি দেশ মোবাইল মানি ব্যবহার করে। মোবাইল মানি’র মাধ্যমে সিভিএ’র (নগদ মূল্য সহায়তা) ডিজিটাইজেশ এজেন্সির মর্যাদা বৃদ্ধি ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে উৎসাহিত করার সম্ভাবনাও রয়েছে।

নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ‘মোবাইল মানি’ মৌলিক ইউটিলিটি পরিষেবা এবং কৃষিসেবা সমাধানে সম্পৃক্ত হতে সহায়তা করে। এবং তা নিশ্চিত করতে মোবাইল শিল্প ও মানবিক খাতকে অবশ্যই একসাথে কাজ করে যেতে হবে, যাতে করে ডিজিটাল অর্ন্তভূক্তি ও আর্থিক অর্ন্তভূক্তিকে আরো এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়। 

উল্লেখ্য, জিএসএমএ একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা, যারা বিশ্বব্যাপী মোবাইল অপারেটর এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে। প্রতিষ্ঠানটি সমগ্র মোবাইল ইকোসিস্টেমকে একীভূত করার মাধ্যমে, এবং নতুন উদ্ভাবনী কার্যক্রমের মধ্যে দিয়ে, ব্যবসাক্ষেত্রে ও সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

ইলোন মাস্কের শেয়ার রয়েছে খবরে দাম বাড়ল টুইটারের

মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারে ৯ দশমিক ২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে টেসলার শীর্ষ নির্বাহী (সিইও) ইলোন মাস্কের। আর খবর চাউর হওয়ার সাথে সাথে মাইক্রোব্লগিং সাইটটির শেয়ারদর ১৬ শতাংশ বেড়েছে। সোমবার নীতিনির্ধারকদের কাছে পাঠানো একটি নথিতে এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর রয়টার্সের।

নতুন কোনো সোস্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম করা যায় কি-না, এ নিয়ে গত মার্চের শেষের দিকে এক টুইটে অনুসারীদের কাছ থেকে মতামত আহ্বান করেন মাস্ক। সচল গণতন্ত্রের জন্য মুক্তবাক গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে জরিপে তিনি প্রশ্ন রাখেন, টুইটার কি মুক্তবাক সংরক্ষণ করে? পোস্টে ‘না’ ভোট পড়ে ৭০ দশমিক ৪ শতাংশ। তখন অনেকেই মনে করেছিলেন হয়তো নতুন কোনো সোস্যাল প্ল্যাটফর্ম আনতে যাচ্ছেন টেসলা ও স্পেস এক্সের প্রতিষ্ঠাতা।

টুইটারে নিয়মিত পোস্ট করা মাস্ক সাম্প্রতিক দিনগুলোয় সোস্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোর কড়া সমলোচনা করতে দেখা গেছে। গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সুরক্ষায় তাদের ব্যর্থতার দিকে অভিযোগের তীর নিক্ষেপ করেন। এরই মধ্যে খবর এল টুইটারে ৯ দশমিক ২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে টেসলাপ্রধানের।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫